নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ আগস্ট, ২০১৯

ভয়াল একুশে আগস্ট

দুঃস্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়ায় যাদের...

রক্তাক্ত একুশে আগস্টের নারকীয় ঘটনা এখনো দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় তাদের। ঘটনার ১৪ বছর পরও তার স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না সেই দুঃসহ সময়গুলো। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় গ্রেনেডের বীভৎস আওয়াজ, নিহতদের লাশ, আহতদের চিৎকার আর সহকর্মীদের বিলাপের স্মৃতির তাড়নায়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা। কিন্তু সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী এবং আওয়ামী লীগের সে সময়ের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ দলের ২৪ নেতাকর্মী সেদিন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন কিংবা কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি।

একজন শাহিদা তারেক দীপ্তি (সাবেক সংসদ সদস্য)। আইভি রহমানের হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপ্তি। নির্মম সেই ট্র্যাজেডি আইভি রহমানের জীবন কেড়ে নিলেও দেহে অসংখ্য স্প্লিন্টারের দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে এখনো তিনি বেঁচে রয়েছেন। শমরিতা হাসপাতাল ছাড়াও মিরপুরের সেলিনা হাসপাতাল এবং কলকাতায় পিটারসেন এবং ব্যাংককে তার দেহে অস্ত্রোপচার করে দুই শতাধিক স্প্লিন্টার বের করা হলেও এখনো তার দুই পাসহ সারা শরীরে বিঁধে রয়েছে পাঁচ শতাধিক ঘাতক স্প্লিন্টার।

তাছাড়া ঘুমের ঘোরে এখনো ২১ আগস্টের মরণঘাতী গ্রেনেডের শব্দ শোনেন নাসিমা ফেরদৌস। তার ভাষায়—‘ভয়ে কেঁপে উঠে বুক, ঘুম ভেঙে যায়। বড় কোনো আওয়াজ শুনলেই আঁতকে উঠি। মনে হয়, আবার বুঝি সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পুনরাবৃত্তি ঘটল।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আওয়ামী লীগ,গ্রেনেড হামলা,একুশ আগস্ট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close