কাইয়ুম আহমেদ

  ০৩ এপ্রিল, ২০১৯

আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলন

ঢেলে সাজানো হচ্ছে তৃণমূল

কোন্দল নিরসনে নামছেন কেন্দ্রীয় নেতারা

২১তম জাতীয় সম্মেলনের আগেই ঢেলে সাজানো হচ্ছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আট বিভাগে নামছে আটটি সাংগঠনিক টিম। এই টিম তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ঘুচিয়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় জোর দেবে। তাছাড়া কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে এমন কয়েকটি জেলায় সম্মেলন হতে পারে। অনেক জেলায় বর্ধিত সভার মাধ্যমেও হতে পারে কমিটি। কাউন্সিলর তালিকাও হালনাগাদ হবে এসব সভায়। সব মিলিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ‘হাসি-খুশি ভাব’ নিয়ে দলের জাতীয় সম্মেলন করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

সম্মেলন নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, তৃণমূল আওয়ামী লীগকে আরো বেশি সংগঠিত করা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন করে ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা এবং সর্বোপরি সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করাই সম্মেলনের আগের বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

সাংগঠনিক সফরের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, আটটি টিমের খসড়া তৈরি হয়েছে। কার্যনির্বাহী সভায় খসড়া তালিকা অনুমোদন হলে তৃণমূলে সাংগঠনিক সফর শুরু হবে।

সাংগঠনকি সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নেত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধাপে ধাপে আমরা সব ইউনিটেই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংগঠনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হবে।

দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আগামী শুক্রবার দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আছে। সেখানে সফরের বিভিন্ন দিক চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই সিদ্ধান্ত হবে।

এদিকে সফরের লক্ষ্যে খসড়া টিমও প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়া টিমে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মোজাফফর হোসেন পল্টু, কাজী জাফর উল্লাহ, মুকুল বোস, সাহারা খাতুন, আবদুল মান্নান খান, ডা. দীপু মনি, ড. আবদুুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আখতারুজ্জামান, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মৃণাল কান্তি দাস, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, সিমিন হোসেন রিমি ও এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার।

চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মতিন খসরু, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ড. হাছান মাহমুদ, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিত রায় নন্দী, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দীপংকর তালুকদার, র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, হারুনুর রশীদ ও অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।

রাজশাহী বিভাগে মোহাম্মদ নাসিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও মেরিনা জাহান। রংপুর বিভাগে রমেশ চন্দ্র সেন, বি এম মোজাম্মেল হক, টিপু মুন্সী ও এইচ এন আশিকুর রহমান।

সিলেট বিভাগে আবুল মাল আবদুল মুহিত, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান ও অধ্যাপক রফিকুর রহমান।

খুলনা বিভাগে পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, আবদুর রহমান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এস এম কামাল হোসেন ও আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা।

ময়মনসিংহ বিভাগে আমির হোসেন আমু, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, মো. মিজবাহউদ্দিন সিরাজ, অসীম কুমার উকিল, মো. আবদুস সাত্তার ও উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।

বরিশাল বিভাগে তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আফজাল হোসেন, ড. শাম্মী আহমেদ ও শ ম রেজাউল করিম।

এর বাইরে ঢাকা মহানগর উত্তরে সম্মেলন প্রস্তুতিতে কাজ করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, দক্ষিণে কাজ করবেন ড. আবদুর রাজ্জাক। আর এর মধ্যে দলের অসুস্থ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চিকিৎসা শেষে ফিরলে শারীরিক সক্ষমতার ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ের সাংগঠনিক কাজের তদারকি করবেন। তার অবর্তমানে কাজ চালিয়ে যাবেন মাহবুব-উল আলম হানিফ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয় তিন বছর পরপর। ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর সর্বশেষ সম্মেলনে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা টানা অষ্টমবারের মতো পুনর্নির্বাচিত হন, তবে সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ এসেছিলেন ওবায়দুল কাদের।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তৃণমূল,আওয়ামী লীগ,সম্মেলন,কোন্দল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close