নিজস্ব প্রতিবেদক
চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
মামুন সরকারের শোক র্যালি
চক বাজারের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোকের অংশ হিসেবে উত্তরা ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী যুবলীগ ঢাকা উত্তরের প্রভাবশালী নেতা মামুন সরকার একটি শোক র্যালি করেছেন। হাজারের অধিক নেতা কর্মী নিয়ে সোমবার বিকেলে উত্তরা ১৪ নং সেক্টর থেকে শুরু হয়ে শোকর্যালিটি উত্তরার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে এ শোক র্যালিকে তার নির্বাচনী শোডাউন বললেও অনেকে বিষয়টিকে ‘পজেটিভলি’ নিয়েছেন। মামুনের পক্ষের লোকজন বলছেন, সমাজ সচেতন মানুষ হিসেবে মামুন সরকার ভোটের দৌড়ে ভালোই এগিয়েছেন। আর এ ধরণের কর্মসূচির মাধ্যমে এ প্রার্থীর রুচি ও মানসিকতার প্রমাণও আমরা পাই। তাই সামনের নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত যোগ্যতার বিচারে তিনি আরো একধাপ এগিয়ে আছেন।
উল্লেখ্য, উত্তর সিটির ৫১ নং ওয়ার্ডে মামুন সরকারসহ আরো ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে আছেন। নির্বাচন সামনে রেখে সবাই এখন শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত। জানা যায়, স্থানীয় ও বহিরাগত ইস্যূ এবারের ভোটের প্রধান অস্ত্র হতে পারে। কারণ, এবারের প্রার্থীদের মাঝে ৪ জন প্রার্থী স্থানীয় হওয়ায় বহিরাগতরা বর্তমান-অতীতে কখনো সুবিধা করতে পারেনি। তাই এবার ‘বহিরাগতদের সুযোগের পালা’ বলে একটি গ্রুপ ভালোই প্রচার-প্রচারণা করছে।
নতুন ওয়ার্ডটির সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন এবার ভোটের মাঠে আছেন, সেই সাথে আছেন উত্তরার জনপ্রিয় তরুণ ব্যক্তিত্ব যুবলীগ নেতা ইফতেখার জুয়েল। তরুণের সাথে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্ষীয়ান পরিবারের সন্তান ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলামও ভালোভাবে মাঠ গুছিয়ে এনেছেন তার পক্ষে।
অপরদিকে তরুণ নেতা হিসেবে মামুন সরকারও করছেন শেষ চেষ্টা। তিনি মনে করছেন, সব ঠিক থাকলে শেষ হাসি তিনিই হাসবেন। আবার আনোয়রুল ইসলাম ও জুয়েল ইফতেখারের মাঝে যে কেউ ভোটের মাঠ শেষ পর্যন্ত নিজের পক্ষে নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
তবে স্থানীয় আরেক প্রার্থী শরিফুল ইসলাম নির্বাচন দৌড়ে কতটুকু এগিয়ে আছেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় ও বহিরাগত ইস্যূটি সামনে আসলে পাল্টে যেতে ২৮ তারিখের ভোটের হিসাব।
পিডিএসও/তাজ