বদরুল আলম মজুমদার

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

যেভাবে চলছে ৫১নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার

তরুণ প্রার্থী ইফতেখার জুয়েল আশাতীত প্রচারণা দিয়ে খুব অল্প বয়সে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে অনেক প্রার্থীরই হিমশিম অবস্থা। আবার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও মহানগর উত্তরের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম (আনোয়ার) ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও ভোটের অভিজ্ঞতা দিয়ে ধীরে ধীরে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে দেখা গেলেও নব্য আওয়ামী লীগার শরিফুর রহমান ভালোই বাধা হয়ে উঠছেন সবার মাঝ।

ভোটারদের মাঝে তরতাজা মিষ্টি কুমড়া উপহার দিয়ে যুবলীগের উত্তরার আইকন মামুন সরকারও কম যাননি। শিক্ষিত ও স্বজ্জন ব্যাক্তি হিসেবে তার প্রচারণা এবং গণযোগাযোগ কৌশল সবাইকে যেমন তাক লাগিয়ে দিচ্ছে আবার মুখের মিষ্টি হাসি দিয়ে অধিকাংশ ভোটারের মনও জয় করতে সক্ষম হচ্ছেন তিনি।

অন্যদিকে নতুন ২ প্রার্থী শওকত ও আরেফিন চলছেন নিজের কৌশলেই। আরেক শ্রমিক নেতা আবুল মেম্বার তার গণ্ডি পেরুতে পারছেন না বলে অনেকে মত দিচ্ছেন। তবে তার ভোটে ভাগ বসিয়েছেন প্রায় সবপ্রার্থীই।

গত কয়েকদিন থেকে এ ওয়ার্ডের নির্বাচন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম ধীরে ধীরে তার পক্ষে নির্বাচন জমাতে সক্ষম হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এ ধারা তিনি ধরে রাখতে পারলে শেষ হাসি তার মুখে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

তবে তার সমালোচকরা বলছেন, এলাকার পরিচিত আওয়ামী নেতারা শেষপর্যন্ত তার সঙ্গে থাকতে নাও পারেন। তাছাড়া স্থানীয় হিসেবে তিনি বেশি আবদারের অধিকারী হলেও তা তেমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে এখনও পারেননি।

অন্যদিকে যুবলীগ থেকে ২ প্রার্থী এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মামুন সরকার মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে আর ইফতেখার জুয়েল করছেন ঠেলাগাড়ি মার্কায়। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশিরভাগ অংশ এই ২ প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। হাসি খুশি ও মিশুক আচরণ দিয়ে মামুন সরকার বহিরাগত ভোটারদের এক করতে পারছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

আর স্থানীয় ভোটের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ দখল করে ইফতেখার জুয়েল সর্বদাই এগিয়ে যাচ্ছেন। মামুন সরকার ব্যক্তিগতভাবে সবশ্রেণি পেশার লোকের সাথে কানেকশন রেখে চলায় নির্বাচনী মাঠ যে কোন সময় তার পক্ষে চলে যেতে পারে বলে মত অনেকের।

তবে সব পোড় খাওয়া আ. লীগ নেতাদের বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে নব্য আ. লীগ নেতা শরীফুর রহমান। তিনি থানা আওয়ামী লীগের তৃত্বীয় সারির নেতা হলেও এ কমিটি অনুমোদন দেয়নি আ. লীগ।

প্রবীণ নেতারা তাকে আ. লীগের পক্ষের মানতে যেমন নারাজ আবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হেভিওয়েট আ. লীগ নেতাশ্রেণি দ্বন্দ্বের কারণে তার পক্ষ নিয়ে কাজ করছেন বলে জানা যায়। তাদের এ কাজে স্থানীয় এমপির কাছে প্রবীণ নেতারা প্রায়ই নালিশ নিয়ে হাজির হচ্ছেন। এমতাবস্থায় স্থানীয় এমপির ভূমিকা না জানা গেলেও অনেকেই বলছেন প্রকৃত আ. লীগ ও যুবলীগের পক্ষেই তার সায় থাকবে।

তবে আলোচনা আছে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকা প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি কোন প্রার্থীর পক্ষে সায় দেয়।দলটির ২-৩ জন নেতা এ ওয়ার্ডে ভালোই ভোট ব্যাংকের অধিকারী। শেষপর্যন্ত যেদিকে সেই (বিএনপি) ভোট যাবে, শেষ হাসি সেই প্রার্থীরই হতে পারে। বর্তমান প্রার্থীদের প্রায় সবাই তাকিয়ে আছে— সেই ধরনের বাড়তি কিছু ভোট ব্যাংকের আশায়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
৫১ নং ওয়ার্ড,উত্তরা,উত্তর সিটি উপনির্বাচন,কাউন্সিলর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close