বদরুল আলম মজুমদার
ত্যাগ ও সততার পুরস্কার
৫১ নং ওয়ার্ডে আ.লীগের প্রার্থী হচ্ছেন ইঞ্জি. আনোয়ার
উত্তরা আওয়ামী লীগের এক সময়ের তুখোড় ছাত্র ও আ. লীগ নেতা অবশেষে ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনে ৫১ নং ওয়ার্ডের মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এবং দল যদি এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা দেয়; তাহলে তিনিই হচ্ছেন উত্তরার বহুল আলোচিত ৫১ নং ওয়ার্ড এ আ. লীগের দলীয় পছন্দের প্রার্থী।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এ নেতা অনেক জেল জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করে গেলেও কখনই দলীয় কর্মসূচি থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখেননি। বিশেষ করে ১/১১ সময় শেখ হাসিনার কারাঅন্তরীণ সময়ে বর্তমান এমপি সাহারা খাতুনের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই সাবজেল এলাকায় উপস্থিত ছিলেন।তাছাড়া সে সময় বৃহত্তর উত্তরা থেকে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে এককভাবে সর্বাধিক সংখ্যক গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার।
এ সিটির প্রথম নির্বাচনে নির্বাচনে তিনি উত্তরা ১নং ওয়ার্ডের আলোচিত প্রার্থী থাকলেও বিভিন্ন কারণে তখন মনোনয়ন দেয়া হয়নি তাকে। এবার সেই ত্যাগ এবং ব্যাক্তিগত সততার পুরস্কার হিসেবে স্থানীয় এ প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে দেয়া হচ্ছে দলীয় মনোনয়ন।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিসহ অন্য অনেক রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় একক প্রার্থী নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে। দলের একটি পক্ষ মনে করছে, নির্বাচনে কে আসলো-না আসলো তা না দেখে দলীয় যোগ্য প্রার্থীদেরই নমিনেশন দেওয়া উচিত। কেননা, একই সিটির অন্য ওয়ার্ডগুলোতে যেহেতু এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল এবারও তাই করতে হবে।
আবার প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখলে একই দলের একাধিক প্রার্থীদের মাঝে ভোটের মাঠে অহেতুক ঝুট ঝামেলা হতে পারে। যা সরকারের জন্য কোনভাবেই কাম্য নয়। এই বিবেচনা সামনে রেখে দল থেকে এবারও একক প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে অন্য পক্ষ বলছে, মাঠে যেহেতু কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকছে না তাই কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত রাখার পক্ষে জোরালো মত দিচ্ছেন তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত একক প্রার্থী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা যায়।
এদিকে, উত্তরা ৫১ নং ওয়ার্ডে স্থানীয় আ. লীগের পক্ষ থেকে ৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হলেও এ ওর্য়াডে প্রার্থিতা ঠিক করতে দলকে তেমন বেগ পেতে হচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে।
কেননা, স্থানীয় আ. লীগে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পোড়খাওয়া রাজনৈতিক ইঞ্জি. আনোয়ার প্রার্থী হিসেবে এমনিতেই অনেকের থেকেই এগিয়ে আছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী, ব্যাক্তিগত জীবনে সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ হিসেবে এলাকায় তথা গোটা উত্তরাতেই গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তার অনুসারী নেতারা মনে করছে, আনোয়ার প্রার্থী হলে হাসিমুখে জয় নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন তারা।
পিডিএসও/তাজ