মহানগর (সিলেট) প্রতিনিধি

  ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯

সিলেটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

‘জামায়াত প্রসঙ্গে দলের পক্ষে আলোচনা-সিদ্ধান্ত হয়নি’

জামায়াত প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিতে দলের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এমনকি এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। জামায়াত প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যটি সামগ্রিকভাবে উনার দলের বক্তব্য বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার দুপুরে সিলেটের হযরত শাহজালার (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংলাপের আহ্বানের বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এই সংলাপের আহ্বান কে করেছেন আমি জানি না। কিন্তু এইটুকু বুঝি যে, এই সংলাপ যদি গতবারের মত সংলাপ হয় তাহলে সে সংলাপ অর্থবহ হবে না। সংলাপের জন্য আমাদের এজেন্ডা একটাই, এই নির্বাচনকে বাতিল করতে হবে। পুণরায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’ এই দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে তখনকার সময়ের উপর বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন, মেয়র নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সরকারের পরিবর্তন ঘটায় না। জনগণের যে মূল বিষয় থাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব সেটির কোনো পরিবর্তন ঘটে না। এই নির্বাচনগুলো খুব একটা মুখ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় না।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে অযোগ্য মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান যে নির্বাচন কমিশন রয়েছে এই কমিশনের অধীনেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোটা পৃথিবী ও জাতি দেখেছে এই নির্বাচন কমিশন অযোগ্য। এই অযোগ্য কমিশনের কোনো যোগ্যতাই নেই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। এদের অধীনে কি নির্বাচন হবে এটা নিয়ে প্রশ্নের কোনো প্রয়োজন নেই। ’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নির্বাচন হতে হবে সকল দলের অংশগ্রহণে। সকলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। সে জন্যই আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে পরিস্কার করে বলেছি, বর্তমান নির্বাচনকে বাতিল করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ করে দিতে হবে।’

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার জনগণের অধিকারকে হরণ করে নিয়ে গেছে। তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছ। জনগণের রায়কে তারা ডাকাতের মত ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। আজকে সারা দেশের জনগণের চোখে-মুখে শোকের চিহ্ন লেগে আছে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।’

এর আগে বেলা পৌনে বারোটার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়েকজন ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সিলেট পৌঁছান।

তার সঙ্গে সিলেট এসেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, মহাসচিব হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতা।

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিলেট,ফখরুল,জামায়ত,সিদ্ধান্ত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close