নৌকার পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক দেড়শ কর্মকর্তা
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সশস্ত্র বাহিনীর দেড় শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঠে নামছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তারা এই অঙ্গীকার করেন। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তার সঙ্গে ছবি তোলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সাবেক ১৫০ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে কাজ করবেন তারা। এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্বাচনে যুক্ত হয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড আরো বেগবান করবেন। নৌকাকে বিজয়ী করতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করবেন তারা।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ আবার ভোটে জিততে আশাবাদী। আওয়ামী লীগের এই আশা পূরণ করতে মাঠে নামতে যাওয়া সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১০৯ জন সেনাবাহিনীর, ১৮ জন বিমানবাহিনীর এবং ১৯ জন নৌবাহিনীর।
সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিনজন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ১৮ জন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ১৯ জন, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সাতজন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ২০ জন। এ ছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত মেজর রয়েছেন ৩৫ জন। তাছাড়া ক্যাপ্টেন ও লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
নৌবাহিনীর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল দুজন, অবসরপ্রাপ্ত কমোডর সাতজন, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ছয়জন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার একজন, অবসরপ্রাপ্ত ই-ক্যাপ্টেন তিনজন।
বিমানবাহিনীর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল একজন, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর দুজন, অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন আটজন, অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাতজন। সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গণভবনে এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।
পিডিএসও/তাজ