reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২০ নভেম্বর, ২০১৮

ইসিতে ৯ দফা দাবি সম্বলিত বিএনপির চিঠি

বিএনপির পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি সম্বলিত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ চিঠি দেন।

এছাড়া পৃথক একটি চিঠিতে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, একজন যুগ্ম সচিব ও পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর পরের দিন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাস্তা বন্ধ ও যানজট সৃষ্টি করে মনোনয়নপত্র বিতরণ করে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মোটরসাইকেল, গাড়ি পিকপাকসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ধানমন্ডি যায় এবং রাস্তাঘাট বন্ধ করে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। এছাড়া,নিজেদের প্রার্থীদের মধ্যে ২ জন নিহত হন। তখন পুলিশ কোনও তৎপরতা দেখায়নি।

কিন্তু বিএনপির মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় জনগণের ঢল দেখে নির্বাচন কমিশন সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের গায়ে জ্বালা ধরে। কমিশন নড়ে বসে। কথিত আচরণবিধির খড়্গ নেমে আসে বিএনপির ওপরে। ইসি সচিব আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে চিহ্নিত করে। এটি একটি পক্ষপাতমূলক আচরণ।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব এবং পুলিশ সদর দফতরের মাঠ প্রশাসনের বদলি; নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পদে পদায়ন ও বদলিতে সিনিয়রিটি ও মেধাক্রম অনুসরণ করতে হবে। সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারদের প্রত্যাহার করে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে পদায়ন; ডিসি-এসপি ও মেট্রোপলিটন এলাকায় উপ-পুলিশ কমিশনার পদে দুই বছরের বেশি দায়িত্বপালনকারীদের প্রত্যাহার ও বদলি; ডিসি পদায়নে ফিট লিস্ট তৈরি এবং ইউএনও ও ওসিদের বর্তমান কর্মরত জেলার বাইরে বদলি; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন বা আছেন এবং মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী/উপদেষ্টাদের পিএস ও এপিএস হিসেবে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট পদে পদায়ন না করা।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ জনগণের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের দেওয়া বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামানের বক্তব্যে ঘটনা সংঘটনের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

চিঠির সঙ্গে ৪৫ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের একটি তালিকাও যুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও রয়েছেন, তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা বান্দরবান রাখা হয়েছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বিএনপি,ইসি,নির্বাচন কমিশন,বিএনপির চিঠি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close