reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তফসিল ঘোষণার আগেই খালেদার মুক্তি চায় বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে অবস্থান স্পষ্ট না করলেও তফসিল ঘোষণার আগেই দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরেছে বিএনপি।

রোববার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যাতে বিএনপির জনসভা থেকে দাবিগুলো তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে— ১. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ বাতিল ২. তফসিলের আগেই খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে দায়ের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। সকল বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা ও নতুন কোনো মামলা না দেয়া, পুরনো মামলায় কাউকে গ্রেফতার না করা, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মতপ্রকাশের অভিযোগে ছাত্রছাত্রী-সাংবাদিকসহ সবার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারদের মুক্তি ৩. সরকারের পদত্যাগ ও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা ৪. ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা ৫. নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ ছাড়াই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা ৬. সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ এবং ৭. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা।

এ সময় মির্জা ফখরুল ১২ দফা অঙ্গিকারও ঘোষণা করেন।

এর আগে বেলা ২টার দিকে পবিত্র কোরাআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিএনপির জনসভা শুরু হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেন।

তবে সমাবেশ মঞ্চের ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম এবং একটি চেয়ার রেখে সম্মান জানায় বিএনপির নেতারা।

এ বিষয়ে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের নেত্রী গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। এটা আমরা মানি না, তাই নেত্রীকে প্রধান অতিথি করেছি। মঞ্চে খালেদা জিয়ার জন্য একটি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।’

এর আগে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন। দুপুরের আগেই গোটা উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

দু’দফা পেছানোর পর ২২ শর্তে বিএনপিকে জনসভা করার অনুমতি দেয় ডিএমপি। এজন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছিল বিএনপি। ওই সভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

দুর্নীতির মামলায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ড হলে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তফসিল,খালেদা,মুক্তি,বিএনপি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close