গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস আজ
গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস আজ। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার ধানমন্ডিস্থ সুধা সদনের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগে শেখ হাসিনার নামে একাধিক মামলা দেওয়া হয়। গ্রেফতারের পর তাকে পুলিশের একটি জিপে করে ঢাকার সিএমএম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন ভীতসন্ত্রস্ত পরিস্থিতির মুখেও দলের নিবেদিত কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আদালত প্রাঙ্গণে প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখতে সমবেত হন হাজারো কর্মী-সমর্থক।
আদালতে শেখ হাসিনার জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর হয় এবং তাকে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে বিশেষ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত এলাকায় তাকে যথাযথ নিরাপত্তা না দেওয়ায় তিনি নাজেহালের শিকার হন। ওই সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা কয়েকটি মামলায় বিশেষ জজ আদালতে তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ওই সব মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শেখ হাসিনা হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধু কন্যার মুক্তির দাবিতে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত হলে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী তাকে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার দাবি জানান। উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে কারাবন্দি শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালের ১১ জুন আট সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সেখানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কান ও চোখের চিকিৎসা নেন তিনি। দেশে ফেরার পর আবার তাকে কারাগারে রাখা হয়। আটকের এক বছরেরও বেশি সময় পর স্থায়ীভাবে মুক্তি পান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে গতকাল এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৭ সালে এই দিনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনা গ্রেফতারি পরোয়ানায় আটক করা হয়। সেদিন তার স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয় এবং জেলখানায় নেত্রীর শরীরে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল। আমরা নেতাকর্মীরা তার সাথে দেখা করতে পারিনি। তাকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল।
পিডিএসও/হেলাল