রাজশাহী ব্যুরো
রাসিক নির্বাচন
লিটনের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা আগামীকাল
মেয়র নির্বাচিত হলে রাজশাহীর মানুষের জন্য কী কী করতে চান তা জানাতে আগামীকাল মঙ্গলবার ১০ জুলাই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। উন্নয়নের বার্তা আর স্বাস্থ্যসম্মত তিলোত্তমা নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতি থাকছে সাবেক এই মেয়রের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে।
জানা যায়, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটন ২০০৮ সালের সিটি নির্বাচনে ২৩ দফা নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন। মেয়র নির্বাচিত হয়ে সেই ইশতেহারের প্রায় সব কাজই করেন তিনি। পরে ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে লিটন ৩৭ দফা ইশতেহার প্রকাশ করেন। কিন্তু নানা কারণে এ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
খায়রুজ্জামান লিটনের ইশতেহার প্রসঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, প্রায় শতাধিক দফার নির্বাচনি ইশতেহার প্রস্তুত। ১০ জুলাই বেলা ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। ইশতেহারে পাঁচ তারকা হোটেল, ক্রিকেট ভেন্যু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ট ফাউন্ডেশন, এক লাখ বেকারের কর্মসংস্থানসহ নানা বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে থাকবে।
এদিকে নির্বাচনি ইশতেহার নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বর্তমান নগরীর পরিসর ৭৫ বর্গকিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে অন্তত ৩৫০ বর্গকিলোমিটার করতে চাই। রাজশাহী মহানগর পুলিশের নতুন ১২টি থানা এলাকা নিয়ে আমরা সিটি করপোরেশনের নতুন এলাকা ঘোষণা করতে চাই। তাহলে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব হবে। পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা নির্মাণ, বড় বড় রাস্তা, লেক, খেলার মাঠ, দর্শনীয় স্থান, বিনোদনমূলক জায়গা, সাংস্কৃতিক এলাকা- সবকিছু মিলিয়ে একটি চমৎকার শহর গড়ে তুলতে চাই। রাজশাহীকে সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুরের মতো এশিয়ার মধ্যে একটি অন্যতম বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
এদিকে, নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচনি ইশতেহার প্রস্তুত করতে পারেননি বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। নির্বাচনি ইশতেহারের ব্যাপারে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আমাদের ইশতেহার এখনও প্রস্তুত হয়নি। এ নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। শুধু প্রতিশ্র“তি দিলেই তো হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই ১৪ জুলাইয়ের পর আমি আমার ইশতেহার ঘোষণা করবো।
পিডিএসও/রানা