সাবেক তথ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এম শামসুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি ২ ছেলে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দীর্ঘ দিন তিনি দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। প্রসঙ্গত তার স্ত্রী আনোয়ারা সুফিয়া ইসলাম ২০১৫ সালের ৩ জুন ইন্তেকাল করেন। বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম বাবু ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি।শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে শামসুল ইসলাম গত ১৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শামসুল ইসলামের একান্ত সচিব কামরুল হাসান জানান, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা হবে। শুক্রবার সকাল ৯টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে সকাল ১০টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন দলের নেতাকর্মীরা। নয়া পল্টনে আরেক দফা জানাজার পর দুপুরে কফিন নিয়ে যাওয়া হবে মুন্সিগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার তিনসুড়িতে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য এম শামসুল ইসলাম জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ইন্দোনেশিয়ার হাই কমিশনার ছিলেন। মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন থেকে ৩বার তিনি সংসদ সদস্য হন। ১৯৯১-১৯৯৬ মেয়াদে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারে বাণিজ্য, টেলি যোগাযোগ ও পরে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এম শামসুল ইসলাম। ২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে তাকে প্রথমে ভূমি ও পরে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালের শেষে দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়া এম শামসুল ইসলাম ২০১৪ সালে দলের কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। চার দলীয় জোট গঠনেরও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে বিএনপি নেতারা জানান।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ