reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৭ মার্চ, ২০১৮

রোববার হাইকোর্টে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার মামলার নথি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নথিপত্র রোববার হাইকোর্টে পাঠানো হবে বলে নিম্ন আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী জানিয়েছেন, যে নথি পাওয়ার উপর খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশ নির্ভর করছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান রায় দেওয়ার ১০ দিন পর সত্যায়িত অনুলিপি পেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসন, সঙ্গে জামিনের আবেদনও জানান।

এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ খালেদার জরিমানা স্থগিত করে বলে, জজ আদালত থেকে এ মামলার নথি এলে তা দেখে আদেশ দেবেন তারা।

পূর্ণাঙ্গ রায়ের মতো বিচারিক আদালত থেকে নথি পাঠাতেও গড়িমসি চলছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের মধ্যে বুধবার ওই আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন নথি পাঠানোর সম্ভাব্য সময় জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সমস্ত যাচাই বাছাই শেষ করে নথিপত্রের কাগজপত্রের নিয়ম মতো ধারাবাহিক সন্নিবেশ করার জন্যই এতটা সময় গেল। ইনশাল্লাহ রোববার আমরা মামলার নথিপত্র উচ্চ আদালতে পাঠিয়ে দেব।

এই আদালত এই মামলায় আদালত বিএনপি চেয়ারপারসনকে ৫ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার পর থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন। তার মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

বিএনপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় তাদের নেত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে, এর উদ্দেশ্য খালেদা জিয়াকে নির্বাচন করতে না দেওয়া।

তাদের বক্তব্য খণ্ডন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দুদকের দায়ের করা এই মামলার রায় দিয়েছে আদালত। দুদক যেমন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, তেমনি আদালতের উপরও সরকারের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ নেই। ফলে এই মামলা কিংবা রায়ের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

রায়ের পর পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশে দেরির জন্যও সরকারকে দায়ী করছিলেন বিএনপি নেতারা; বিচারিক আদালত থেকে নথি হাইকোর্টে পাঠাতে দেরির জন্যও এখন সরকারকে দুষছে তারা।

বিএনপি নেতাদের দাবি, খালেদা জিয়াকে বেশি দিন কারাগারে আটকে রাখতেই এই কৌশল নিয়েছে সরকার।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলের আইনজীবীদের ভুলের কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাবাস দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হাইকোর্ট,খালেদা জিয়া,মামলার নথি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist