সোহরাওয়ার্দী অভিমুখে আ.লীগ নেতাকর্মীর ঢল
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের বর্ষপূর্তির দিনে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিতে দলে দলে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার বেলা দুটার দিকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইতোমধ্যে সমাবেশ অভিমুখে আসতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ঢাকা ছাড়াও আশপাশের পাঁচ জেলা গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদী থেকেও নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসছেন। তারা বাসের পাশাপাশি ট্রেন ট্রাকযোগে সমাবেশে আসছেন। জয় বাংলা শ্লোগান দিতে দিতে এবং বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নেচে-গেয়ে আসছেন অনেকে। তাদের হাতে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন, গায়ে একই রঙের টি-শার্ট, মাথায় একই রঙের ক্যাপ শোভা পাচ্ছে।
এছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন থানা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে এসব মানুষের মুখে ছিল একাত্তরের সেই বিখ্যাত জয় বাংলা স্লোগান।
সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সুসজ্জিত পোশাকে বাস, ট্রাকযোগে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হচ্ছেন। প্রতিটি প্রবেশপথে নেতাকর্মীদের ভিড় আস্তে আস্তে বাড়ছে। কিছু সময়ের মধ্যে নেতাকর্মীদের ভিড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভরে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সমাবেশস্থলের দিকে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর হাতে লাল-সবুজের পতাকা ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতীকও তুলে ধরতে দেখা যায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও শাহবাগ, টিএসসি চত্বর, দোয়েল চত্বরেও মানুষের ভিড় বাড়ছে। মূল মঞ্চে মাইকে চলছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ।
সমাবেশের জন্য ইতোমধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে চেয়ার। সাজানো হয়েছে প্যান্ডেল। নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে উদ্যানের চারপাশে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ব্যানার-ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছে। এতে ৭ মার্চ ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে। সমাবেশস্থলে প্রবেশ করা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
পিডিএসও/হেলাল