মো. শাহ আলম, খুলনা

  ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮

খুলনা আ. লীগে নয়া মেরুকরণ!

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা এমপির অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে দলে ঐক্যের সুর বেজে উঠেছে। সুজার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে থাকা গাজী আবদুল হাদির মৃত্যুর পর এই পদে নতুন করে কাউকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর চাচাত ভাই শেখ সোহেলকে ঘিরে মহানগর আওয়ামী লীগেও নয়া মেরুকরণ হয়েছে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা। দলের নগর সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জিইয়ে থাকা বিভক্তিও নিরসনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, খুলনার স্থানীয় রাজনীতিতে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন শেখ সোহেল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার নেতৃত্বে বিবদমান দুপক্ষের নেতাকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে।

খুলনা নগরের উন্নয়ন’ শীর্ষক সাক্ষাৎকারে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এমপি বলেছেন, ‘তালুকদার আবদুল খালেক প্রবীণ রাজনীতিবিদ। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাকে ভোট না দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়েছে। যা এখন মানুষ বুঝতে পারছেন। পাশাপাশি খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনে মিজান সমর্থক প্যানেলের প্রচারণায় দেখা গেছে তালুকদার আবদুল খালেককে।

জানা যায়, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধিতা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। অপরদিকে, কমিটি গঠন নিয়ে জেলায় সভাপতি হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা এমপির পৃথক অবস্থানও দীর্ঘদিনের। তবে সুজার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে বিরোধে ঐক্যের সুর দেখা দিয়েছে। গত জুলাই থেকে কিডনি জটিলতায় অসুস্থ হয়ে তিনি বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘তার (সুজা) অনুপস্থিতিতে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরলে দুজনে এক সঙ্গে কাজ করব।’ তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে কিছু বিরোধ থাকলেও বড় ভাই হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তা’ সমাধান করেছি। অসুস্থ অবস্থায় মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তার পরিবারের অন্যদের সঙ্গেও নিয়মিত কথা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

এদিকে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের এই মেরুকরণ রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন নেতা-কর্মীরা।

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠ দাবড়ে বেড়ালেও যখন তালুকদার আবদুল খালেক মেয়র প্রার্থী হওয়ার খবর চাউর হয় তখন ঐক্যের সুর অনেকটা জোরালো হতে শুরু করেছে। এ বিষয় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক এডভোকেট আনিসুর রহমান পপলু বলেন, মেয়র প্রার্থী হিসেবে তালুকদার আবদুল খালেকের কোনো বিকল্প নেই। তিনি খুলনা সিটি করপোরেশনের সফল মেয়র, তার সময় যে উন্নয়ন হয়েছে পরে কোনো উন্নয়নের ছাপ পড়েনি।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আওয়ামী লীগ,খুলনা আওয়ামী লীগ,জেলা আওয়ামী লীগ,শেখ সোহেল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist