তাবিথেই ভরসা বিএনপির
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে শেষমেশ তাবিথ আউয়ালকেই বেছে নিলো বিএনপি। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির ভোটে তিনিই ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন। সোমবার রাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড আগ্রহীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার পর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান।
তাবিথকে বেছে নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ফখরুল বলেন, যে পাঁচজন প্রার্থী হতে আবেদন করেছিলেন, তাদের মধ্যে ভোটে জয়ী হয়ে আসার মতো প্রার্থী হিসেবে তাবিথকেই দেখছেন তারা। আমরা মনে করেছি, হি ইজ দ্য বেস্ট ক্যান্ডিডেট, সবচেয়ে ভালো ক্যান্ডিডেট, ফিটেস্ট ক্যান্ডিডেট। অন্যরাও যোগ্য ছিলে। তার মধ্যে তাবিথকে মনে হয়েছে, এই নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ক্যান্ডিডেট।
দলীয় সিদ্ধান্ত জানার আগে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাৎকারে হাজির হয়েছিলেন তাবিথ। বিএনপি নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাবিথ সাংবাদিকদের বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক আগেই বলেছিলেন যে, আগামীর বাংলাদেশ হবে তরুণদের বাংলাদেশ, আধুনিক বাংলাদেশ। আমরা দেখতে পাচ্ছি, উনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী আইন মেনে তিনি এখনও কোনো ধরনের প্রচার চালাননি। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সামনে আসবেন। দলে প্রার্থী হতে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসা অন্য চারজনকে ধন্যবাদও জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ। এ সময়ে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে পাশে বসা সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান রঞ্জনকে চাচা সম্বোধন করে তার সঙ্গে করমর্দন করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এই ভোটে ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে আগ্রহী ছিলেন বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান রঞ্জন, ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম ও কেন্দ্রীয় সহপ্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ।
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাবিথের প্রার্থী হওয়ার অভিজ্ঞতাও বিবেচনায় নেয় বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড। ফখরুল বলেন, সে গতবার নির্বাচন করেছে, প্রচুর ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয়ত, সে হচ্ছে ইয়াং, সে বাইরে বহু দিন ছিল, পড়াশোনা করেছে, অভিজ্ঞতাও হয়েছে।
পিডিএসও/হেলাল