বুড়িগঙ্গা নদী দখলমুক্ত রাখতে ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মিত হচেছ
রাজধানী ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী দখলমুক্ত রাখতে ২৮০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা) নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমরা নদী দখল মুক্ত করার জন্য ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা) নির্মাণ করেছি এবং এখন ৫০ কিলোমিটার নির্মাণ করার কার্যক্রম গ্রহণ করব। নদীর পাড়ে ২৮০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে আমাদের করতে হবে। তাহলে কেউ নদী দখল করতে পারবে না। এ কাজ আমরা অব্যাহত রাখবো। আজ বুধবার সচিবালয়ে নদী রক্ষা ও দখলমুক্ত টাস্কফোর্স কমিটির ৩৬তম সভাশেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
শাহজাহান খান বলেন, সারা দেশে নদীর চারপাশে পিলার স্থাপনের কাজ করব, তবে এগুলো একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ইতিমধ্যে ঢাকার চার নদীর চারপাশে এ কাজটি করেছি। কিছু আপত্তি ছিল পিলার স্থাপনের ক্ষেত্রে, তাই যাচাই করে আবার পুনঃস্থাপন করা হবে। অনেক জায়গায় পিলার উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। যারা উঠিয়ে ফেলেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নদী দখলমুক্ত রাখতে সচেতনতা প্রয়োজন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নদী দখল না করে নদীর প্রতি যত্নশীল হন। নদীর প্রয়োজনীয়তা মানুষের জন্য কত গুরুত্বপুর্ণ সেগুলো যারা উপলব্ধি করতে পারে না তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার প্রয়োজন আছে। এ জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসুচি হাতে নেব।
এদিকে ঢাকা শহরের খাল উদ্ধার ও দখলমুক্ত করার ব্যাপারে জানান, আমরা মোট ১৩টি খাল শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে ২টি খাল উদ্ধার করে দখলমুক্ত রাখার জন্য দুই পাশে পাকা করেছি। বাকি ১১টি খাল উদ্ধারের জন্য যা যা কার্যক্রম গ্রহণ করার দরকার ইতিমধ্যে আমরা ওয়াসাকে সে ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া বিআইডাব্লিউটিএ কে মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমরা যে নদীর তীরভূমি উদ্ধার করেছি সে উদ্ধারকৃত জায়গা যাতে আবার দখল না হয়।
পিডিএসও/তাজ