‘রসিক নির্বাচন : সহিংসতা হলেই ভোট বন্ধ’
আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে সহিংসতা হলেই ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। আজ রোববার দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই ঘোষণা দেন। এর আগে সকালে কমিশন কার্যালয়ে রসিক নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সিইসি কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে ৪ নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বিজিবির মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত রংপুর সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে ৩৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১১টি। ভোটকেন্দ্র ১৯৩টি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রংপুরের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২২ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর। ৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে অনুষ্ঠানিক প্রচার। আর ভোট হবে ২১ ডিসেম্বর।
বিএনপি বলছে রংপুর সিটি নির্বাচন ইসির পরীক্ষা। এক্ষেত্রে ইসি বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ কতটুকু পারবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারও প্রত্যাশা পূরণ নয়, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। তবে বিএনপির আশঙ্কার কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিয়ে বাসায় ফিরে যেতে পারেন এবং সকল প্রার্থীরা যাতে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের বিষয়ে সিইসি বলেন, সংখ্যালঘুরা যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এই সময় তিনি জানান, রংপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ