নিজস্ব প্রতিবেদক
‘বৃষ্টি শেষ হলেই শুরু হবে সড়ক সংস্কার’
বৃষ্টি শেষ হলেই ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার আগে পুরান ঢাকার ৮৫ শতাংশ রাস্তাই ছিল ভাঙাচোরা। গত দুই বছরে ৩০০টি রাস্তা সংস্কার করেছি। কিন্তু এ বছর ভারী বর্ষণে কিছু সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি শেষ হলেই এসব সড়কের সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।’
রোববার দুপুরে পুরান ঢাকার মালিটোলা মাঠে আয়োজিত ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। ডিএসসিসির ৩৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়াও ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক শহীদুর রহমান, ওয়াসার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম মাহবুবসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘পুরান ঢাকার সন্তান হিসেবে আমি জানি কোথায় কী সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধানও আমি করছি, করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘মেগা প্রকল্পের আওতায় ১২টি খেলার মাঠ, ১৯টি পার্ক উন্নয়নের কাজ হাতে নিয়েছি। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আর্কিটেক্টদের দিয়ে নকশা করিয়ে এসব মাঠ ও পার্ক বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা হবে। অনেকেই এই পুরান ঢাকা দেখার জন্য আসবে। পুরান ঢাকা বদলে যাচ্ছে, বদলে যাবে।’ জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী মালিটোলা এলাকায় গ্যাস না থাকা, পানি না থাকা, থাকলেও পানিতে দুর্গন্ধ আসা এবং বেশির ভাগ স্থানে সুয়ারেজ লাইনের সঙ্গে পানির লাইন মিশে যাওয়ার অভিযোগ করলে মেয়র উপস্থিত ওয়াসা কর্মকর্তাকে অতিদ্রুত এ সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া তাঁতীবাজার এলাকায় ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র ডিএমপির ট্রাফিক ইন্সপেক্টরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেখানে পথচারীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে জেব্রা ক্রসিং করে দেওয়ার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন। পুরান মুগলটুলী, হাজী আব্দুল্লা সরকার লেন এবং পুকুরপাড় লেন এলাকায় পানির লাইনের সঙ্গে সুয়ারেজের লাইন মিলে যাওয়ায় সৃষ্ট সমস্যা অবিলম্বে দূর করা হবে বলে ওয়াসা কর্মকর্তা প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া মালিটোলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরের আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানের পর সিরাজ-উদ-দৌলা পার্কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন মেয়রসহ অতিথিরা। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পার্ককে অত্যাধুনিক রূপ দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র। প্রকল্প অনুযায়ী পার্কটির ভেতর থাকবে ফাউনটেইন ফুয়ারা, পাবলিক টয়লেট, কফি শপ, ওয়াকওয়ে, পাবলিক প্লাজা, ওয়াটার ট্যাপ, লাইটিং, কিডস জোন, নারীদের জন্য পৃথক জোনসহ সর্বাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। এ ছাড়া মালিটোলা লেনে আরো একটি পার্কের উন্নয়নকাজেরও উদ্বোধন করা হয়। এর ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা।পিডিএসও/রানা