নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার তাগিদ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সবগুলো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন গণমাধ্যমের শীর্ষ কর্মকর্তারা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে আলোচনাকালে তারা এই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এই তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ইসি কার্যালয়ে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সংলাপে অংশ নেয়া সাংবাদিকরা বের হয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন, তারা কী কী পরামর্শ দিয়েছেন এই বিষয়ে ব্রিফিয় করেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব।
ইসি সচিব জানান, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ছাড়াও যেসব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নেই তাদের নিবন্ধন বাতিল করার মত দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এ ছাড়া আইশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথভাবে ব্যবহার, গণমাধ্যম কর্মীরা যেন নিরাপদে তাদের দাযিত্ব পালন করতে পারে তা নিশ্চিত করা, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা সংরক্ষণ করে সেগুলোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
ইসি সচিব জানান, যারা হলফনামায় অসত্য তথ্য দেবে তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা, প্রয়োজনে মনোনয়ন বাতিল করার কথা বলেছেন সাংবাদিকরা। তারা অনুরোধ করেছেন যেন স্বাধীনতাবিরোধী কোন দলকে নিবন্ধন না দেওয়া হয়। এ ছাড়া নিবন্ধিত দলগুলোর সারা বছরের কর্মকা- পর্যালোচনা করে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা কমিয়ে আনার পরামর্শ এসেছে। তিনি বলেন, ভোটের পর কার আগে কে ফলাফল ঘোষণা করতে পারে সে প্রতিযোগিতার শুরু হয় মিডিয়ায়। অনেক সময় ঘোষিত ফলাফলএকেক মিডিয়ায় একেক রকম হয়। সেজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা যে ফলাফল ঘোষণা দেন সেটাই যেন সবাই প্রচার করে। সে ব্যাপারে একটা নির্দশনা জারি করার পরামর্শ এসেছে। সংখ্যালঘুরা যেন নির্য্যাতিত না হয় সে ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ এসেছে। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার করা যায় কি না সে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও এসেছে। সংলাপে উঠে আসা প্রস্তাবগুলো রাজনৈতিক দলের কাছে তুলে ধরা হবে জানিয়ে ইসি সচিব জানান, আগামী ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সংঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শেষের দিকে যে নিবন্ধিত দল আছে তাদের প্রথমে ডাকা হবে।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত এবং সমমনা দলগুলো বর্জন করে। যে দাবিতে তারা নির্বাচন বর্জন করে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবি এখনও মানেনি সরকার। আবার এই দাবি মানা হবে না, সেটাও জোরের সঙ্গে বলছে সরকার। বিএনপিও অবশ্য এই দাবি থেকে সরে এসে সহায়ক সরকারের কথা বলছে। আর নানা ঘটনাপ্রবাহে বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হবে বলেই মনে করছে সরকারি দল।পিডিএসও/মুস্তাফিজ