ঢাকা এখনও ফাঁকা : কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে সময় লাগবে
খুলেছে অফিস : ফিরছে মানুষ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মব্যস্ত মানুষ। আজ বুধবার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত খোলা থাকায় ঢাকায় ফিরেই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে। তবে এরই মধ্যে ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ফলে ঈদ কাটিয়ে এখনো জমেনি ইট-পাথরের ঢাকা। তাই রাজধানী ঢাকা এখনও কার্যত ফাঁকাই। কেননা- সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৫ দিনের সরকারি ছুটিতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করে মানুষ। ফলে বাস, রেল ও লঞ্চ টার্মিনালে নামে মানুষের ঢল। আর শুক্রবার থেকে গার্মেন্টসে ছুটির পর রাজধানী একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। তবে যারা ঈদ উদযাপন করতে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা রাজধানী ঢাকায় আসতে শুরু করলেও নগরীরর কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। ঢাকার প্রধান সড়কগুলো এখনও ফাঁকা। মানুষ ও যানবাহনের চলাচল সীমিত। হোটেল, রেস্টুরেন্ট খোলেনি। অধিকাংশ দোকানপাট খোলেনি। মূলত জনবহুল রাজধানী এখনও অনেকটাই ফাঁকা। এর আগে ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ সামনে রেখেই অনেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরতে শুরু করে।
আজ থেকে সরকারি অফিস-আদালত চালু হয়েছে। তবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গার্মেন্টসহ অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ থাকায় নগরে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষই এখনো ফেরেনি। বুধবার সরকারি অফিস খোলার পাশাপাশি আগামী দু-এক দিনে বেশিরভাগ বেসরকারি অফিসও চালু হবে। রোববার থেকে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে গার্মেন্টস শিল্প। এর মধ্যেই খোলা হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে ঢাকাকে পুরনো রুপে ফিরতে আরো ২-৩ দিন অপেক্ষা করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে ৩০ লাখ লোক রাজধানী ছেড়েছেন। এ কারণে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায় রাজধানী।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড থেকে বেশিরভাগ বাসই ছেড়ে যাচ্ছে খালি। তবে ফিরছে টইটম্বুর হয়ে। রেল স্টেশনের দৃশ্যও একই। সকাল থেকেই দূর দূরান্তের মানুষ বাস ট্রেন লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। সকালে রাজধানীর সদরঘাট, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন, গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদে বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের রাজধানীতে ফেরার দৃশ্য দেখা গেছে। ফাঁকা হয়ে যাওয়া ঢাকা আবার কর্মব্যস্ত হতে চলেছে। তবে ঈদের আগের ভিড় আর টিকিট পাওয়ার ঝামেলা এড়াতে আগে যারা পরিবার নিয়ে বাইরে যাননি, তারা ঈদ পরবর্তী ছুটি কাটাতে ঢাকা ছাড়ছেন। এই আসা-যাওয়ার মাঝে রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভিড়ই এখন স্টেশন ও টার্মিনালগুলোতে বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ