হাতিরঝিলে মিলন মেলা
হাতিরঝিল রাজধানীর বিনোদন স্পট গুলোর মধ্যে অন্যতম। এর একপাশে মগবাজার-তেজগাঁও অন্যপাশে রামপুরা-বাড্ডা সংযোগ সড়ক আর মনোরম দৃশ্য দর্শনার্থীদের মন কাড়ে। অন্যান্য দিনে বিকেলে বিনোদন পিয়াসী মানুষ ঘুরে বেড়াই। কিন্তু উৎসব পার্বনে যেন ঢল নামে হাতিরঝিলে। সেই দৃশ্যই দেখা গেল ঈদুল ফিতরের দিনও।
বিকেল থেকে হাজার হাজার মানুষের পদচারণা এখানে। যেন সব বয়সী মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবাধানে তৈরী হাতিরঝিলের মনোরম দৃশ্য দেখেনি রাজধানীতে সেই ধরনের মানুষ খুব কম দেখা যাবে।
বর্তমানে চারিদিকে প্রাচীর, নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে পাহারা আর সারি সারি গাছের দৃশ্য বিনোদন পিয়াসী মানুষের মন না কেড়ে পারে না। অপূর্ব নির্মাণ শৈলী মুগ্ধ করে দেয় সবাইকে। সন্ধ্যার পর হরেক রকমের লাইট জ্বলে উঠলে ভাবতেই পারেন আপনি এখন অষ্ট্রেলিয়ার অপেরাহাউজের সামনে দাঁড়িয়ে। সে যাই হোক, হাতিরঝিলে বসে যদি কেউ তা কল্পনা করে তাহলে তো কিছু আসে যায় না। অন্তত হাতিরঝিলের নির্মাণ শৈলী মনে করে দেয় অপেরা হাউজের কথা।
ঈদের দিন হাতিরঝিলে দেখা মেলে নব দম্পত্তি কাইসার রহমান ও ফারজানা রহমানের। তারা জানান, যেভাবে হাতিরঝিলের যত্ন নেয়া হচ্ছে সেটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে হাতিরঝিল মডেল হয়ে থাকবে। লোকজনকে বিনাদন স্পটের জন্য বহুদূর যেতে হবে না। হাতিরঝিলে ১০ মিনিট দাঁড়ালেই প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।
ব্যবসায়ী সুমন বলেন, তিনি তার এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। মগবাজার যাওয়ার একটি লেন বন্ধ করায় তিনি খুব খুশি। তিনি বলেন, এই লেনে অন্তত বাচ্চারা খেলতে পারছে। পুরো হাতিরঝিল ঘুরে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছে এখানে। ভেতরের পরিবেশও ভালো। বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ, বাচ্চা সবারই যেন মিলন হয়েছে হাতিরঝিলে।
সন্ধ্যার পর আকর্ষণীয় সব লাইটে পুরো পরিবেশ রঙ্গীন হয়ে উঠে। এই রঙ্গীন পরিবেশ উপভোগ করেন বিনোদন পিয়াসী মানুষ।
পিডিএসও/রিহাব