প্রস্তুত বিনোদন কেন্দ্রগুলো
ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত রাজধানী এবং দেশের দর্শনীয় স্থান ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন সাজে সেজেছে চিড়িয়াখানা, শিশু পার্ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, নন্দন পার্ক, ফ্যান্টাসি কিংডম এবং সিলেট, কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। তাই মানুষের ঈদ আনন্দকে পূর্ণ মাত্রা দিতে শেষ মুহূর্তের পরিষ্কার-পরিড়বছন্নতা কার্যক্রম চলছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোয়।
রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত শিশু পার্কটি অনেক পুরনো। শহরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়ায় প্রতি ঈদেই শিশুদের কোলাহলে মুখরিত হয় বিনোদন কেন্দ্রটি। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, শিশু পার্কে বর্তমানে ১০টি রাইড রয়েছে। ঈদের প্রথম চার দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে পার্ক। ঈদে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার দর্শনার্থী আসেন এই পার্কে।
প্রতিদিনের মতোই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেন। তাদের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে কয়েকটি কমিটি। চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার-পরিড়বছন্নতার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব-পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি আইনশৃঙ্খলা জোরদারে কাজ করবে বলে তিনি জানান।
থিম পার্কগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ফ্যান্টাসি কিংডম। প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে এখানে ঢল নামে দর্শনার্থীর। পার্কের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের প্রথম সাত দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ফ্যান্টাসি কিংডম। ছুটিতে নন্দন পার্কে ভিড় জমায় আনন্দপ্রিয় মানুষ। পার্ক কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ঈদের দিন সকাল থেকেই খোলা থাকবে পার্ক। এ ছাড়া ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।
নতুন সাজে সেজেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। ইতোমধ্যে সাগরপাড়ের তারকা হোটেলগুলোয় আগাম রুম বুকিংও নিয়েছেন পর্যটকরা। তবে পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’সহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ধসের ধাক্কা লেগেছে কক্সবাজারেও। তবে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে পর্যটনে যোগ হয়েছে দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক।
ঈদে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম পছন্দের জায়গা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। পর্যটকদের ঈদ আনন্দ পরিপূর্ণ করতে সার্বিক ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন হোটেল মালিকরা। ট্যুরিস্ট বোর্ড মালিক সমিতির পরিচালক হোসাইন আমির জানান, ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের নেঙঊপথে ভ্রমণের জন্য নেঙঊকাগুলো তৈরি রাখা হয়েছে।
পিডিএসও/রিহাব