মারকেলের সাথে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী
জার্মানি সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেলের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। ৫৩তম সিকিউরিটি কনফারেন্সের ফাঁকে আজ শনিবার মিউনিখের বাইরিশার হফ হোটেলে দুদেশের শীর্ষ নেতাদের এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২ নেত্রীর মধ্যে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে শনিবার রাতেই দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পরদিন রাতে তিনি ঢাকা পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে বর্তমান বিশ্বে নিরাপত্তা আলোচনার সেরা ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কনফারেন্স’হিসেবে বিবেচিত মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ দিলেন শেখ হাসিনা
অবশ্য বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জার্মানির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছিলেন, ২ নেতার বৈঠকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ মোকাবেলাসহ উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি হ্রাস, ইউরোপে চলমান শরণার্থী ও অভিবাসন সংকট মোকাবেলাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অন্যদিকে আজ মারকেলের সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। এদিনই একটি প্যানেল আলোচনায়ও অংশ নেবেন তিনি।
বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানসহ সাড়ে চারশ প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী, পোল্যান্ড ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস এবং রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব ছাড়াও নেটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গ্রিন পিস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরাও এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত ১৯৬৩ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের যাত্রা শরু হয়। স্নায়ুযুদ্ধের পটভূমিতে তৈরি হলেও ৫ দশকের বেশি সময় ধরে এই সম্মেলনে বিশ্ব নিরাপত্তা ও বিভিন্ন পরিবর্তনের প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ