নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ মে, ২০২০

দুর্যোগে চাষি ও খামারিদের পাশে আছে সরকার

করোনাকালীন এই দুর্যোগ মুহূর্তে ও সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে চাষি ও খামারিদের সুরক্ষা ও কল‍্যাণে সরকার পাশে রয়েছে এবং থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সংশিষ্টদের নিদেশনা দিয়েছি।

বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের মন্ত্রী এ নির্দেশ প্রদান করেন।

তিনি বলেন, দুর্যোগের সময়ে মাছের এবং গবাদিপশুর খাবার সংকটের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিরাপদ আশ্রয়ে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগি সরিয়ে নেওয়ার জন্য রক্ষণশীল মানুষদের বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে। কি পরিমাণ মাছ ধরার ট্রলার বড় নদী বা সমুদ্রে আছে তার তথ্য কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।

উপকূলীয় প্রতিটি জেলার হালনাগাদ তথ্য তথা কি পরিমাণ গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে, মাছের কতটি ঘের সংরক্ষণ করা হয়েছে সে রিপোর্ট দিতে সংশিষ্টদের মন্ত্রী নিদেশ দেন। বলেন, যেসকল মৎস্য নৌযান সমুদ্রে বা বড় নদীতে রয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, উৎপাদক, চাষি ও খামারিরা বিপন্ন হলে আমরা বিপন্ন হয়ে পড়বো। এজন্য তাদের লালন ও পরিচর্যা গভীরভাবে করতে হবে। প্রতিটি জেলার কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে হবে। গবাদিপশুর খাদ্য বিতরণ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সঠিকভাবে মনিটর করতে হবে, যাতে বরাদ্দকৃত খাদ্য প্রকৃত খামারিদের কাছে পৌঁছায়। আপনারা তৎপরতার সাথে কাজ করলে দুর্যোগে মৎস্যজীবী বা খামারিদের ক্ষতি অতীতের মতো হবে না বলেও জানান শ ম রেজাউল। জরুরি পরিস্থিতিতে আপনাদেরকে আরও অধিক নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেন তিনি।

গবাদিপশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া, মৎস্য ঘেরসমূহ জাল দিয়ে উঁচু করে ঘিরে রাখার বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ প্রদান, গবাদিপশুর বরাদ্দকৃত খাদ্য প্রকৃত খামারিদের পৌঁছানো, সকল নৌযান নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরানো, মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা, দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রণালয়কে অবহিতকরণ, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তীতে রাজস্ব খাত বা প্রকল্প থেকে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সহায়তা দেওয়া, হ্যাচারিতে মাছের পোনা ও হাঁস-মুরগির বাচ্চা উৎপাদন অব্যাহত রাখা এবং উপদ্রুত এলাকায় টিকা প্রদান, চিকিৎসা, কৃত্রিম প্রজনন, পরামর্শ প্রদানসহ কারিগরি সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দুর্যোগ,সরকার,শ ম রেজাউল করিম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close