জুবায়ের চৌধুরী

  ১৭ মে, ২০২০

৯৯৯-এ করোনা নিয়ে ফোনকল ৩ লাখ!

জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরটি দিন দিন মানুষের কাছে সঠিক তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তির প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার সময়ে দেশের সাধারণ মানুষ সব ধরনের সহায়তার জন্যই পুলিশের পরিচালিত ৯৯৯-এ ফোন করছেন। আর তাই এই সময়ে সাধারণ সময়ের চেয়ে ফোনকলের সংখ্যাও বেড়েছে।

গত ১৮ মার্চ থেকে ১২ মে পর্যন্ত ২০ লাখ ২১ হাজার ৯৫৮ কল আসে এই কল সেন্টারে। এর মধ্যে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৮১টি কলই এসেছে করোনাসংক্রান্ত বিভিন্ন সেবার জন্য।

৯৯৯ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার বিষয়ে তথ্য সহায়তা চেয়ে বেশির ভাগ কল এসেছে। এছাড়া করোনার সময় ত্রাণ সহায়তা চেয়ে, করোনা রোগীর তথ্য দিয়ে, ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির খবর জানিয়ে এবং ঝুঁকিপূর্ণ চলাচলের খবর দিয়ে ফোন করেছেন নাগরিকরা। প্রায় দুই মাসে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ১৭ হাজার ১৯ জনকে করোনাসংক্রান্ত জরুরি সেবা দিয়েছে পুলিশ। এই সময়ে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬২ জনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ জানান, বর্তমানে করোনার বিষয়েই বেশি কল আসছে। বিভিন্ন ধরনের সেবা চেয়ে কল করছেন নাগরিকরা। এর মধ্যে আমাদের সেবা খাত (পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স) ছাড়াও সাধারণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়। করোনা সন্দেহভাজন রোগী বা অন্যদের সহায়তায়ও পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে যায়। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল এবং পারিবারিক সহিংসতার খবরও দিচ্ছেন ঘরবন্দি মানুষ। বর্তমানে ৯৯৯ একসঙ্গে ১০০টি কল রেসপন্স করতে পারে।

৯৯৯ সূত্র জানায়, গত মার্চ মাসে কল এসেছে ১০ লাখ ২৯ হাজার ২৯৬টি। এটি বেড়ে এপ্রিলে হয়েছে ১১ লাখ ৫ হাজার ৭১২টি। মার্চে সেবা দেওয়ার কল বা কল ফর সার্ভিস (সিএফএস) ছিল ২৯ হাজার ৫৬৭টি এবং এপ্রিলে ছিল ২৫ হাজার ৬০৩টি। গত ১৮ মার্চ থেকে করোনাকালীন কল আসার সময় হিসেবে সংরক্ষণ করছে ৯৯৯।

দেখা গেছে, গত ১৮ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব মিলিয়ে করোনাসংক্রান্ত মোট কল এসেছে ৮৫ হাজার ৭৮০টি। এই সময়ে মোট কলের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১।

১৮ মার্চ থেকে ১২ মে পর্যন্ত মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৯৫৮ কলের মধ্যে করোনাসংক্রান্ত কল ২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৮১টি। এসব কলের মধ্যে করোনাসংক্রান্ত তথ্য চেয়েই কল করেছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬২ জন, যাদের সরাসরি সেবা দিতে পারেনি পুলিশ। শুধু তথ্য দিয়েছে। আর সেবা দিয়েছে ১৭ হাজার ১৯ জনকে।

গত ২১ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত সংরক্ষিত তথ্যে দেখা গেছে, এ সময়ে ত্রাণ চেয়ে কল করেছেন ৮ হাজার ২০৮ জন। ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির তথ্য দিয়ে ফোন করেছেন ১৭৫ জন। করোনার তথ্য দিয়েছেন ৯৯৭ জন। প্রবাসীদের অবস্থান জানিয়েছেন ১০ জন। ২২ দিনে করোনাসংক্রান্ত সেবা দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৩৯০ জন কলার বা সেবাপ্রার্থীকে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জরুরি সেবা,জরুরি নম্বর,৯৯৯,ফোনকল,করোনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close