নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

জাতি গঠনে সাংবাদিকতা মহৎ পেশা : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

জাতি গঠনে সাংবাদিকতা একটি মহৎ কাজ বা পেশা বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকদের জন্য রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) সম্মেলন কক্ষে ‘শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ এবং উন্নয়ন সাংবাদিকতা ’ শীর্ষক সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বাসস ইনফোটেইনমেন্ট সার্ভিস এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প ২ দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় যিনি বা যারা নিয়োজিত থাকেন তাদের দ্বারা আমরা লাভ বা ক্ষতি দুটোরই সম্মুখীন হতে পারি। বলতে গেলে কল্যাণ বা অকল্যাণ দুটোই হতে পারে। তবে আমরা উনাদের কাছ থেকে দায়িত্বপূর্ণ আচরণ প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, একটি নেতিবাচক সংবাদ যেমন রাষ্ট্রের উপকার হতে পারে আবার রাষ্ট্রীয় কল্যাণ বা রাষ্ট্রের সাধারণ সম্প্রীতি বজায় রাখার সার্থে নেতিবাচক সংবাদকে পরিহার করা হচ্ছে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা। আমরা আজকে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, তা হচ্ছে উন্নয়ন সাংবাদিকতা। যেটা রাষ্ট্রগঠনে, জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বর্তমান সময়ে দেশের মূল ধারার সংবাদমাধ্যমগুলো উন্নয়ন সাংবাদিকতার উপর বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে।

আমি মনে করি, সেই পরিমাণটা আরো বেশি হতে হবে। একটি সংস্থা, গোষ্ঠি বা কোন ব্যক্তির সাফল্য তুলে ধরলে অন্য আরেকজন সেটা দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারে। এ ধরনের সাংবাদিকতা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

মন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ ঘটনার তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে সমাজের দায়িত্ববান লোকদের কাছে সাধারণ জনগোষ্ঠির কথা বলার বা তথ্য আদানপ্রদান করার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিকতা।

যারাই পৃথিবীতে নতুন কোনো বার্তা বা সমাজ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে; তারাই সংবাদপত্রের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করেছে। উদাহরণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, সমাজ সংস্কারক কার্ল মার্কস নিজ মতবাদ প্রচারের জন্য নিজেই একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেছেন।

মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, কোনো সরকারি নীতি কারো কাছে সঠিক মনে নাও হতে পারে। কিন্তু সাংবাদিকসহ সকলেই একমত হবে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেয়া উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনে এক জাদুকরি পরিবর্তন এনেছে। তার (প্রধানমন্ত্রী) আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পটি দেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।

তিনি বলেন, অনেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পছন্দ নাও করতে পারেন, কিন্তু তিনি দেশকে যে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তা তার কট্টর সমালোচকরাও অস্বীকার করতে পারবেন না।

মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে কারো কোনো কমপ্রোমাইজ করা যাবে না। কারণ দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এই জায়গায় আমরা যেন কোনো ধরনের সমঝোতা না করি। সাংবাদিকরা তাদের নিউজের মাধ্যমে যেমন একটি দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন, আবার তেমনি একটি দেশকে পিছিয়েও দিতে পারেন।

বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মো.তাজুল ইসলাম,স্থানীয় সরকারমন্ত্রী,দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close