সংসদ প্রতিবেদক

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন কি ছিলো আগামী প্রজন্মকে জানাতেই মুজিববর্ষ’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাঙালির শ্রেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম-শতবার্ষিকী কোনও উদ্দেশ্যে ছাড়া আয়োজন করা হচ্ছে না। এর নেপথ্যে একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে সরকারের। কারণ স্বাধীনতার মহান এই নেতার রেখে যাওয়া দর্শন, আদর্শ ও চিন্তা কি ছিলো, বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হিসেবে রেখে যেতে ও তাদের জানাতে পালন করা হচ্ছে মুজিব বর্ষ। কারণ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। পেতাম না একটি মানচিত্র। পিতার রেখে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজগুলো সুচারুভাবে শেষ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; ওই কাজের মধ্যে একটি মুজিববর্ষের চিন্তা।

সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়। আজ অধিবেশন সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শোষিত, বঞ্চিত ও লাঞ্চিত মানুষকে ভালো রাখার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন টুঙ্গীপাড়ার খোকা অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু। তার স্বপ্ন ছিলো গর্বিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরা। কিন্তু তা তিনি করে যেতে পারেননি। কারণ ১৯৭৫ সালে কতিপয় বিপথগামী ঘাতক নির্মমভাবে তাকেসহ স্ব-পরিবারে হত্যা করে তার স্বপ্নকে থামিয়ে দিয়েছিল। তাকে (বঙ্গবন্ধু) হত্যা করার মাধ্যমে সমগ্র বাঙালি জাতিকে সেদিন হত্যা করা হয়েছে।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার দিনে কাকতালীয়ভাবে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহেনা; তারা বিদেশে থাকাতে। পিতার মৃত্যুর পর দেশে আসতে বাঁধা দিয়েছিল সেনা নিবাস থেকে রাজনৈতিক মসনদে বসা জিয়াউর রহমান। কিন্তু আমাদের প্রিয়নেত্রী সব বাঁধা উপেক্ষা করে দেশে আসেন ১৯৮১ সালে। সেদিন বিমানবন্দরে লক্ষ জনতার ঢল নেমেছিল। তার পদচারণায় মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল।

দেশে এসেই পিতার রেখে যাওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্খা পূরণে একটি পথনকশা তৈরি করেন। দলের দুঃসময়ে অর্থাৎ পিতার মৃত্যুর পর থেকে ১/১১ সরকারের সময়ে যারা নেত্রীর প্রতি আস্থা রেখে নিজের জীবন বাজি রেখে লোভ-লালসা ত্যাগ করে নেত্রীর পাশে অবিচল ছিলেন তাদের প্রতি জানাই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর কুমিল্লা-৯ আসনে স্বাধীনতার স্বপক্ষের কেউ বিজয়ী হতে পারেনি। প্রথমবার মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে আমি বিজয়ী হই। এর পর বারবার প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়ে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। ২০১৯ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী আমার মন্ত্রণালয়ে পরিদর্শন করে কিছু নিদের্শনা দেন। তার দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবসম্মত ও যুগপযোগী। প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা অনুযায়ী আমার মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সংসদ,স্থানীয় সরকারমন্ত্রী,বঙ্গবন্ধু,মুজিববর্ষ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close