প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২০

গালফ নিউজের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী

ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রয়োজন ছিল না

ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার প্রয়োজন ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আবুধাবিতে গত শনিবার গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারটি শনিবার সংবাদপত্রটির অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করা হয়।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বুঝি না ভারত সরকার কেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) করলো। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও সবসময় বলে আসছে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

২০১৯ সালের অক্টোবরে নয়াদিল্লি সফরকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগতভাবেও এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে পাড়ি দেওয়া কেউ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে এমন নজির নেই। কিন্তু ভারতে নাগরিকরা এই আইন সংশোধন হওয়ার কারণে অনেকে সমস্যার মধ্যে রয়েছে।

এছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন , মিয়ানমার থেকেই রোহিঙ্গা সংকটের শুরু। তাদের কাছেই এর সমাধান রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এখন পর্যন্ত দুবার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে চায়নি। ফলে আমাদের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমার আসলে প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইন (সিএএন) সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দুসহ কয়েকটি ধর্মাবলম্বীদের ভারত তাদের দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। এছাড়া এই নিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এছাড়া জাতীয় নাগরিক তালিকারও বিরোধিতা করছে সাধারণ মানুষ।

ভারতীয়দের একাংশের প্রবল আপত্তি এবং বিক্ষোভ-আন্দোলনের মধ্যেই গত ১০ জানুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার কথা জানানো হয়। সংশোধিত এই নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া অ-মুসলমানরা (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন) ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা,নাগরিকত্ব আইন,ভারত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close