সংসদ প্রতিবেদক

  ১৩ জানুয়ারি, ২০২০

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সহায়ক উপকরণ কেনার টাকা পাবেন

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির পাশাপাশি শিক্ষা সহায়ক উপকরণ কেনার টাকা দেবে সরকার। বছরের শুরুতে ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

সোমবার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেল ৪ টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য মো. মোজাম্মেল হোসেন এর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছিল। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সিটিং কোনও সংসদ সদস্য মারা গেলে তার ওপর আনিত শোক প্রস্তাবের আলোচনার পর সংসদের মুলতবি ঘোষণা করা হবে।

সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক স্তরে উপবৃত্তি প্রদান ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রেখেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল যাওয়ার আনন্দকে আরও জোরালোকরণের জন্য প্রতিটি স্কুল ছাত্র-ছাত্রীকে বছরের শুরুতে শিক্ষা উপকরণ (ড্রেস, জুতা, ব্যাগ) কেনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা করে প্রদানের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, স্কুলর সার্বিক পরিবেশ ও ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক অবস্থা অধিকতর প্রফুল্লকরণের জন্য প্রতি বছর শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির পাশাপাশি ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ দেওয়ার জন্য প্রতি বছর শুরুতে এককালীন ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। প্রকল্পটির মূল্য লক্ষ্য হল দারিদ্র-বিমোচন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা, যেন তারা সন্তুষ্টি এবং আনন্দের সাথে স্কুলে যেতে পারে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৩৫ শতাংশ ৩ হাজার ৭১৬টি শূন্যপদে ৩৭তম বিসিএস হতে পিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগের জন্য পিএসসি’র সুপারিশ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের শূণ্যপদ পূরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতিযোগ্য শূন্য পদে সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে হতে পদোন্নতি/চলতি দায়িত্ব প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সরকারি দলের আরেক সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ তথ্যানুযায়ী (২০১৮) দেশের সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। দেশের সাক্ষতার হার বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রাথমিক,শিক্ষার্থী,শিক্ষা উপকরণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close