স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সরকারের নেয়া মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে। এই প্লান বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর উন্নয়নের সকল কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করা যাবে এবং সবার জন্য একটি বাসযোগ্য নগরী গড়া সম্ভব হবে। এ জন্য রাজধানীতে সুপেয় পানি, পয়:নিষ্কাশন, পানি শোধনাগার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অনেকগুলো কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। সে কাজগুলো শেষ করতে হলে আমাদের সামনে অনেক প্রতিবদ্ধকতা আছে; আছে বড় চ্যালেঞ্জও। তবে বাস্তবায়ন যত কঠিনই হোক ধাপে ধাপে আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবো, সেই সাথে নগর জীবনের মানুষের জীবনমান আরো বেশি উন্নত হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল- এ বিশ্ব ব্যাংক আয়োজিত ‘পাথওয়েজ টু ট্রান্সফরম মেট্রো ঢাকা ইন্টু এ লিভেবল, প্রসপারাস এন্ড রেজিলিয়েন্ট মেগাসিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সকল জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। গ্রামের মানুষও শহরের মত সুবিধা পাচ্ছে। এই উন্নয়ন ধরে রাখতে আমাদের আরো কাজ করে যেতে হবে।

ব্রাকের চেয়ারম্যান ও পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশান রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)-র নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় এ আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মার্সি টেম্বন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব ব্যাংকের টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক জন রুমি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের যে স্বপ্ন অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে, সেটাকে অর্জনের জন্য ঢাকাকে নিয়ে চিন্তা করা খুব জরুরি। তাই সময় এসেছে ঢাকাকে নিয়ে আরো চিন্তা করার।

বৃহস্পতিবার ইউনিসেফ আয়োজিত অপর একটি জাতীয় কর্মশালায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ইউনিসেফ দেশের স্যানিটেশন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মাঠ লেভেল থেকে ছোট ছোট তথ্য উপার্থ তুলে এনে আজকে যে রির্পোট তারা তৈরি করেছে এবং প্রকাশ করেছে সেখানে এসডিজির সূচকে উন্নতির কিছু চিত্র পাওয়া যায়। যা আগের অবস্থা থেকে অনেক বেশি উন্নত। এসময় নিরাপদ পানি, জনস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার জন্য ইউনিসেফসহ দেশি বিদেশি এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসারও আহবান জানান মন্ত্রী।

ইউনিসেফ এর স্যানিটেশন বাস্তবায়ন সংস্থা ওয়াশব্যাট সারা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করেছে। রাজধানীর র‌্যাডিসনব্লুতে সংস্থাটি তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করে।

এতে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান। এছাড়া ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর টমোহোজমি এবং ওয়াশব্যাট এর পরিচালক দারা জনসন। এসময় প্রকাশিত রিপোর্টের উপর বিশদ বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

পিডিএসও/রি.মা