প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯

টাঙ্গাইল জেলা পাক বাহিনীর হাতছাড়া

একাত্তরের এ দিনে টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় যৌথ বাহিনী। দিন-রাত যুদ্ধ শেষে ভোরের দিকে অস্ত্র সংবরণ করে পাকিস্তান সেনারা। ঢাকার অদূরে এ জেলায় পাক বাহিনীর সার্বিক পরাজয় ঘটে।

এদিকে, ঢাকায় পাকিস্তানি সামরিক অবস্থানে অব্যাহত থাকে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলা। কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়নি এ দিন। কারফিউ অব্যাহত থাকে ঢাকায়।

আজ ১২ ডিসেম্বর। একাত্তরের এ রাতে ঢাকা সেনানিবাসে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী সদর দফতরে ডেকে পাঠান আলবদর ও আলশামস কেন্দ্রীয় অধিনায়কদের। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এক গোপন বৈঠক। সে বৈঠকে প্রণয়ন হয় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা। ফরমান আলী তাদের হাতে তুলে দেন বুদ্ধিজীবীসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামের তালিকা। সে রাতেই আলবদর বাহিনী সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমদ ও আ ন ম গোলাম মোস্তফাকে তাদের বাসভবন থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে।

এদিকে নরসিংদী , নীলফামারী, গাইবান্ধা, নরসিংদী, সরিষাবাড়ী, ভেড়ামারা ও শ্রীপুর হানাদারমুক্ত হয়। দক্ষিণে ভারতীয় নৌবাহিনী সপ্তম নৌবহরের আসন্ন তৎপরতা সর্ব উপায়ে বিঘ্নিত করতে চালনা (এখন মোংলা বন্দর) থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ছোট-বড় অবশিষ্ট সব জাহাজ ও নৌযান, উপকূলীয় অবকাঠামো, কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রভৃতি ধ্বংস বা অকেজো করে ফেলে।

মওলানা ভাসানী এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দেওয়ায় ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তার দলের সদস্যদের এবং সমর্থকদের বাংলাদেশ সরকার, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিবাহিনীর পক্ষে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পাক বাহিনী,টাঙ্গাইল জেলা,একাত্তর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close