পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য নেওয়া তিনটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিকে নেতিবাচক হিসেবে গণ্য করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে অনুশাসন দিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দক্ষতার সঙ্গে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়েছে। বলেছে, সরকারি অর্থের সাশ্রয় ও বাড়তি ব্যয় সংকোচনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগামীতে প্রকল্প সম্পন্ন করতে হবে।

গতকাল রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় এ অনুশাসন দিয়েছে। কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য আবু জাহির, আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম এবং নার্গিস রহমান।

সভায় বিদ্যুৎ খাতে নেওয়া তিনটি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রকল্পগুলো হচ্ছে ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন, চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন এবং জেটএ-১ পাইপলাইন ফ্রম পিতলগঞ্জ (নিয়ার কাঞ্চন ব্রিজ) টু কুর্মিটোলা এভিয়েশন ডিপো (কেডিএ) ইনক্লুডিং পাম্পিং ফ্যাসিলিটিজ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য সরকার প্রকল্পটি তিনটি গ্রহণ করেন।

কিন্তু রোববার সংসদীয় কমিটির সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে নানা অনিয়মের খোঁজ পেয়েছে। বিশেষ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছে সংসদীয় কমিটি। আগামীতে সরকারি অর্থের সাশ্রয়ী করতে প্রকল্প নেওয়ার আগে সব ধরনের কারিগরি দিক বিবেচনা করে প্রকল্প নিতে সুপারিশ জানিয়েছে কমিটি।

বৈঠকে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা পূরণে আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা জোরদার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে শুধু ভারত থেকে নয় প্রয়োজনে মিয়ানমার থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস আমদানি করা যায় কি না তার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের চলমান প্রকল্প থেকে বিগত ২০১৬-১৯ পর্যন্ত ০৩ বছরে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের (প্রশিক্ষণ/কর্মশালা/সেমিনার ইত্যাদি) বিবরণ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে এ সফরের প্রভাব সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, এ বিভাগের ১০টি (দশ) সংস্থা থেকে বিগত ৩ বছরে ৪৫১ জন বিদেশ সফর করেন। বৈঠকে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর নিরুৎসাহিত করার এবং বিদেশ সফরে যাতে সরকারের অর্থের অপচয় না হয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে বিদেশ সফরের পর একটি প্রতিবেদন নিজ নিজ সংস্থার কাছে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

পিডিএসও/হেলাল