নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৯

তামাকজাত পণ্য তরুণদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

দেশের বিভিন্ন বিষয়ে জরিপভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক সংস্থা আছে যারা শুধু খারাপ দিকগুলো তুলে ধরে বিভিন্ন জরিপভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিম্নগতি দেখানোর চেষ্টা করে। তাই এসব প্রতিবেদনের সঙ্গে আমি একমত নই। তবে সত্য বিষয়গুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে আমার কোনো দ্বিমত নেই।’

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ ধূমপান করত, এখন তা ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা ভালো অগ্রগতি। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অথবা বাণিজ্যমন্ত্রীকে রাখলে ভালো হতো। তারাই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারতেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের অগ্রগতি হচ্ছে, তার সঙ্গে কিছু ক্ষতিকর দিকও সামনে চলে আসছে। তামাকজাত পণ্য ছাড়াও ই-সিগারেট আমাদের তরুণ সমাজকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা দ্রুত বৃদ্ধি করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ী সাংবাদিকদের হাতে এ বছরের পুরস্কার তুলে দেন। মোট ১৪টি প্রতিবেদন নির্বাচিত হয়েছিল যাচাই-বাছাইয়ের জন্য। ১০ জনের জুরি বোর্ড তার মধ্যে থেকে তিনজনকে সেরা প্রতিবেদক হিসেবে নির্বাচিত করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, থাইল্যান্ডের থামাসাত ইউনিভার্সিটির হেড অব গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ড. মেরি আসুন্তা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফজেইউ) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সিটিএফকের বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, বিডিনিউজের সাংবাদিক মুর্তজা হায়দার লিটন, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যানসার ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন প্রমুখ।

এর আগে অনুষ্ঠানে ডব্লিউএইচও এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়ন-বিষয়ক গবেষণা ফল প্রকাশ করা হয়। এ সময় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দীর্ঘমেয়াদি একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। ইতোমধ্যে তিন বছর অতিবাহিত হলেও তামাক নিয়ন্ত্রণে ধীরগতির কারণে নির্ধারিত সময়ে এ লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তথ্যমন্ত্রী,তামাকজাত পণ্য,বিড়ি-সিগারেট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close