নাশকতার পরিকল্পনা করে সুন্দরবনের করমজল ও বান্দরবানের আলীকদমে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের গ্রেফতারকৃত চার সদস্য। এরপর নাশকতা করতে তারা ঢাকায় আসে। শুক্রবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে আটক করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আটকরা হলেন—শাহিন ওরফে ওমর, সাইফুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও আল মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সদস্য সংগ্রহ করে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা। পরে সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবন করমজল এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেয়। পরে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় প্রায় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ শেষ করে তারা সংগঠনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশে ঢাকায় আসে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, নিরাপদে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্য সংগঠনের সদস্যরা পাহাড়ি এলাকায় একটি কফিশপ চালু করেছিল। এছাড়া তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন। সেখানেই তাদের বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসি প্রধান আরো জানান, আটকরা জননিরাপত্তা বিপন্ন করার উদ্দেশে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি ক্ষতির লক্ষ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশে একত্রিত হয়েছিল।

পিডিএসও/হেলাল