ঈদের দিন রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সোহেল (৩০) নামে এক যুবক ও রিমভি (২৫) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার দিনগত রাতে রাজধানীর শান্তিনগর ও বাড্ডায় পৃথক এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুইটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শান্তিনগর এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সোহেল ও উত্তর বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় রিমভি নিহত হন।

নিহত সোহেল ভাটারা নতুনবাজার এলাকার নুরুল আলমের ছেলে। বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখাশুনা করতো তিনি। আর নিহত রিমভির স্বামীর নাম কাবুল। তারা ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় থাকতেন।

পল্টন থানার এসআই শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান, সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে দূর-সম্পর্কের ভাই কবিরকে (২৮) সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন সোহেল। শান্তিনগরে ফ্লাইওভার ব্রিজ থেকে নেমে লাজ ফার্মার সামনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন তারা।

এতে সোহেল গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাত ১টায় মৃত ঘোষণা করেন। কবির সামান্য আহত হয়েছেন।

নিহত রিমভির চাচা মাসুদ জানান, ঈদের দিন স্বামী সন্তানসহ রিমভি ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন। রাতে উত্তর বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি পিকআপভ্যানের ধাক্কায় রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন রিমভি। তখন একটি বাস তার ওপর দিকে উঠিয়ে দেয়।

এতে আহত হন স্বামী সন্তানসহ ৩ জন। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে রাতে রিমভিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাড্ডা থানার এসআই শহিদুল আলম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই বাসটিকে জব্দ করা হলেও, পিকআপ ভ্যানটি পালিয়ে যায়। নিহত রিমভির স্বামী ও সন্তান এখন মোটামুটি ভালো আছে।

পিডিএসও/হেলাল