নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ মে, ২০১৯

ইতিবাচক উন্নয়ন শুরু হয়েছে : মেয়র

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ঢাকার আকার দিন দিন বাড়নো হচ্ছে। তাই যেভাবে সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করা হয়েছে, সেভাবে সেবাদানকারী অন্য সংস্থাগুলোকেও দুই ভাগে ভাগ করা উচিত। এতে আরও দ্রুততম সময়ে নাগরিকদের কাঙ্খিত সেবা দেওয়া যাবে। সময় এসেছে এখন এটা নিয়ে আলোচনা করার। আমি আমার মেয়াদকালের চার বছর পার করেছি। আমরা পরিবর্তনের ধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। ইতিবাচক উন্নয়ন শুরু হয়েছে। ডিএসসিসি এলাকা বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।

শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাঈদ খোকনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এ কথা বলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছিল খুবই সুদূরপ্রসারী।

নাগরিক সেবা ও নগরের উন্নয়নে এখনো বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে থাকা সমন্বয়হীনতার বিষয়টি স্বীকার করে সাঈদ খোকন বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা এখনো অনেক বড় মাপের প্রতিবন্ধকতা। আর এ সমন্বয় সাধন নিশ্চিত করতে হলে ঢাকা ওয়াসাসহ সকল নগর সংস্থাকে দুই ভাগ করে সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে একটি অথরিটির অধীনে আনতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বিভক্তির পর থেকে এখনো পর্যন্ত ডিএসসিসির জনবল কাঠামো অনুমোদন হয়নি। এটা দুঃখজনক, এ কারণে আমরা প্রায় ৪০ ভাগ কম জনবল নিয়ে ডিএসসিসির কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

সংস্থার অর্থনৈতিক সক্ষমতা সম্পর্কে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ডিএসসিসির অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকারী দফতর এবং উর্ধঃতনদের সহযোগীতার প্রয়োজন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে মেয়র মোঃ সাঈদ খোকন বিগত চার বছরে ডিএসসিসির রাস্তা, নর্দমা, ফুটপাত উন্নয়ন ও সংস্কার, পরিচ্ছন্নতাকর্মিী নিবাস নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, নবসংযুক্ত ৮টি ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, খেলার মাঠ ও পার্কের উন্নয়ন, বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন, যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, যানজট নিরসন, পুরনো ঢাকার আবাসিক এলাকা হতে কেমিক্যাল কারখানা স্থানান্তর, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ, অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ, ডিজিটাল এলইডি বিলবোর্ড স্থাপন, রাজস্ব কার্যক্রম অটোমেশন, বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ, বিনামূল্যে দাফনের ব্যবস্থা, খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান, জেট এন্ড সাকার মেশিন সংযোজন, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, মশক নিধন কার্যক্রম, সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রম, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কল্যাণ কর্মসূচি, খাল দখলমুক্তকরণ ও সংস্কার কাজ, পুলিশ বক্স নির্মাণসহ প্রভৃতি কাজের চিত্র তুলে ধরে নগরীর ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন।

তবে দায়িত্বকালের সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, মেয়র হিসেবে আমার মূল্যায়ন নগরবাসী করবেন। তবে এতদিনে নগরে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পেরেছি আমরা। আমি কতটুকু সফল বা ব্যর্থ তারাই বলবেন। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে কোথাও কোথাও অনেক সফলতা পেয়েছি আবার কোথাও কোথাও সাময়িকভাবে সফলতা আসেনি। তবে তার জন্য হাত গুটিয়ে বসে থাকিনি, থাকবো না। সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাংবাদিক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ডিএসসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইতিবাচক,উন্নয়ন,মেয়র সাঈদ খোকন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close