নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ এপ্রিল, ২০১৯

সেমিনারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিরাপদ পানি সরবরাহে কাজ করছে সরকার

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানুষের কাছে নিরাপদ পানি সরবরাহে আমাদের সামনে দুইটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আর্সেনিকমুক্ত পানি ও নদী দূষণ রোধ করা। আর্সেনিকমুক্ত পানি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও নদী দূষণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এটা নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত এর একটা সমাধান হবে। নদীগুলো দূষণ মুক্ত করে মানুষের কাছে নিরাপদ পানি সরবরাহ করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এ বছর পানি দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ অর্থাৎ কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

সেমিনারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান ও সুইডেন অ্যাম্বাসেডর এইচ এ চাড়ুলট্টা স্কলাইটের। এছাড়া সেমিনারে কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো: মুজিবুর রহমান।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার চারপাশে নদীগুলো দূষিত হওয়ার কারণে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। নদীর মাছও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত। যার প্রভাব রাজধানীতে পানি সরবরাহ করতে অনেক দূর নদী থেকে পানি আনতে হচ্ছে। তবে কিভাবে নদীকে বাঁচানো যায় এবং দূষণ মোকাবেলা করে সুন্দর একটি শহর নগরবাসীকে উপহার দেওয়া যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। যদি টেমস নদীকে ভয়াবহ দূষণ থেকে রক্ষা করা যায় তাহলে আমরাও পারবো।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার গ্রামকে শহরে পরিণত করা। তারই প্রেক্ষাপটে গ্রামে অন্যান্য সেবা পৌঁছানোর পাশাপাশি নিরাপদ পানি সরবরাহ করার কাজ চলছে। আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের সঙ্গে বৃষ্টির পানি সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে মানুষ নিরাপদ পানি সেবন করতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র ও নিরক্ষরতা মুক্ত এবং সহজলভ্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, নব্বই দশকের প্রথমার্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভুগর্ভস্থ পানিতে মাত্রতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া যাওয়ায় নিরাপদ পানি সরবরাহের কাভারেজ ৯৭ থেকে ৭৪ শতাংশে নেমে আসে। বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে তিন লক্ষাধিক পানির উৎস ও ২২৬টি গ্রাম ও ১৫৯টি পৌর এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করাসহ ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করে। ফলে নিরাপদ পানি সরবরাহের বর্তমানে ৮৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নিরাপদ পানি,সরবরাহ,স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close