reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ মার্চ, ২০১৯

দেশপ্রেমের আদর্শ নিয়ে শিশুদের বেড়ে উঠতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আজকের শিশুরাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের দেশপ্রেমের আদর্শ নিয়ে বেড়ে উঠতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শিশুদের জীবন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

টুঙ্গিপাড়ায় রোববার দুপুরে জাতির পিতার শততম জম্ম দিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের পাবলিক প্লাজায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিশুরাই একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবে। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এখন থেকেই নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে তার সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবদরদী ছিলেন। নিজের বই গরিব ছাত্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। স্কুলে যাওয়ার সময় নিজের ছাতা অন্যকে দিয়ে দিতেন। নিজের গোলার ধান বের করে নির্দিধায় গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতেন তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছেন মানুষের জন্য। মানুষের অধিকারের কথা বলতে গিয়েই বারবার কারাবরণ করেছেন। সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতিসংঘের আগেই ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার রক্ষায় শিশু আইন করেন বঙ্গবন্ধু।

তিনি বলেন, ৭৫ এর পর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। আর সেই ভাষণ আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণের একটি। তিনি আরোও বলেন, শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার কাজ করছে সরকার। বঙ্গবন্ধু যে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন। সেটি বাস্তবায়ন করাই এখন লক্ষ্য।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ একটি উন্নত জীবন পাবে, এটাই তার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু সে কাজ তিনি করে যেতে পারেননি। ১৫ আগস্ট তাঁকে মেরে ফেলা হলো। আমি পরিবার হারালাম, আপনজন হারালাম কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ হারিয়েছিল তাদের স্বাধীনতার চেতনা, উন্নত জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা।’

প্রধামন্ত্রী আরো বলেন, ৭৫ এ আমার পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার ৬ বছর পর দেশে ফিরে প্রতিজ্ঞা নিয়ে ছিলাম, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশে যখন ফিরে আসি জানতাম, যে কোন সময় আমাকেও এই পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না, উন্নত জীবন পাবে। এটা নিশ্চিত করাই এখন লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হবে। ২০২০ সাল থেকে ২১ সাল পর্যন্ত মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’

শিশু প্রতিনিধি আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। শিশু কিশোর সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি নামে একটির বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলা ব্র্যান্ডিং এর লোগোর রেপ্লিকা উপহার হিসেবে তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুকে লেখা শ্রেষ্ঠ চিঠি’ পাঠ করে শোনান শিশু সুরাইয়া ইয়াসমিন। পরে প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। সেখানে ‘আমার কথা শোন’ শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। শিশু সমাবেশ শেষে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে প্রধানমন্ত্রী দর্শক সারিতে বসে শিশুদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বইমেলা উদ্বোধন করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আঁকা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শেখ হাসিনা,টুঙ্গিপাড়া,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close