ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
পুরান ঢাকায় রাসায়নিকের গুদাম না সরানো দুঃখজনক
পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম না সরানো দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই ঘনবসতির এলাকায় যেন আর কেমিক্যাল না থাকে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কাজে বাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হওয়া চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দগ্ধ ও আহতদের দেখতে ঢামেকে আসেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বেলা ১১টার দিকে বেরিয়ে যান তিনি।
হাসপাতালে তিনি দগ্ধ ও আহতদের খোঁজ-খবর নেন। রোগী ও তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে রোগীদের অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, চুড়িহাট্টার ঘটনায় শোকদিবস পালন করা হবে। আজ (শনিবার) অফিস বন্ধ সরকারি ছুটির দিন। রোববার অফিস খুললে পুরান ঢাকায় নিহতদের স্মরণে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান।
পুরান ঢাকার খাল উদ্ধারের গুরুত্ব জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় পুরনো ঢাকার ধোলাই খাল ও আশপাশে অনেক খাল ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেগুলো দখল হয়ে গেছে, স্থানীয়রা ভরাট করে ফেলার কারণে ওই এলাকায় দুর্ঘটনার সময় পানি পাওয়া যায় না। আগুন নেভানোর সময় যদি পানি না পাওয় যায়, তাহলে ফায়ার সার্ভিসের কী করার আছে? বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পুরান ঢাকার রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার জন্য মেয়রকে নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পুরান ঢাকার রাস্তাঘাট একেবারে সরু। সেই রাস্তায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার কোনো উপায় নেই। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ওই রাস্তাগুলো প্রশস্ত করতে হবে।
আগুন নেভানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েও ফায়ার কর্মীদের কাজ ব্যাহত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধরনের প্রশ্ন করা থেকে সাংবাদিকদের বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় হাসপাতালে সরকার প্রধানের সঙ্গে রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক স্বপন, প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, এমপি হাজী মো. সেলিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন প্রমুখ।
গত বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬৭ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ।
পিডিএসও/তাজ