পাঠান সোহাগ

  ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯

ছুটির দিনে লোকে লোকারুণ্য মেলা প্রাঙ্গণ

ছুটির দিনে লোকে লোকারুণ্য বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। জমজমাট হয়ে উঠেছে। বেড়েছে বিকিকিনি। এদিকে মেলার প্রভাব শেরে বাংল নগরের চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের সড়ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, গণভবন, শ্যামলী কলেজ গেইট, মিরপুর রোডসহ বিভিন্ন সড়কে মানুষে একাকার ছিল। যানবাহনের আনাগোনা অন্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল।

শ্যামলী কলেজ গেইট ও মিরপুর মেইন রোড থেকে মেলার মূল ফটক দিয়ে বিকেলে মেলায় প্রবেশ করতে প্রায় ৩০ থেকে ৪৫মিনিট সময় লেগেছে।

শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দর্শনার্থী, ক্রেতা ও বিক্রয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটায় জানা গেছে।

মেলায় আগত দর্শনার্থী, ক্রেতা ও বিক্রয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকেই দর্শনার্থী ও ক্রেতার সমাগম ছিল। দুপুরের পর থেকে লোকারুণ্য হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। প্রত্যেকটি স্টলে দর্শনার্থী ক্রেতার সমাগম ছিল। মেলায় কথা হয় গাজীপুর থেকে আসা আল অমিনের সঙ্গে। তিনি জানান, দুপুরে জুমার নামাজ শেষ করে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। দুই ঘণ্টা বাসে ছিলাম। আর মেলা প্রাঙ্গনে ঢুকতেই ৪০ মিনিট লাগল। বাহিরে যেমন ভিড় ভেতরে ঠিক তেমনি ভিড়।’

সাভার থেকে আসা আবদুর রউফ জানান, ‘মেলায় আমার একটা আগ্রহ ছিল। সেই আগ্রহ থেকে আজ আসলাম। কিন্তু কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে বের হতে পারর কিনা সেটাই ভাবার বিষয়।’ মেলা থেকে রের হয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন আবুল কালম। হাতে দ্ইু তিনটি ব্যাগ। সড়কে যানজট। তিনি জানান,‘ বাড়িতে পৌঁোতে রাত ১১টা বাজবে। মেলায় ঘুরতে এসে বিপদে পড়লাম।’

আয়োজক কমিটির কর্মকর্তা ও বিক্রয় কর্মীরা জানান, পোশাক, ফার্নিচার, কসমেটিকস, খাবারের স্টলগুলোসহ প্রত্যেকটি স্টলে ভিড় আছে। বেচা কেনা আশানুরুপ হয়েছে। রাত আটার পরে এই জনস্রোতো কমতে থাকবে।

মিস্টার নুডলস প্যাভিলিয়নের বিক্রয় কর্মী মনিষা পাল বলেন,‘ সকাল থেকেই ভিড় ছিল। বেচাকেনা ভালো। কালকেও এমটাই আশা করছি।’

নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ‘মেলায় পরিবেশ ভাল আছে। আমরা সব সময় নজর রাখছি। এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
লোকে লোকারণ্য,মেলা প্রাঙ্গণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close