কেউ কি জানে শিশুপার্ক বন্ধ?
রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত শিশুদের অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র শিশুপার্কের আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এক বছর লাগবে এ কাজ শেষ হতে। কিন্তু সে তথ্য জানেন না অনেক দর্শনার্থী। এতে প্রতিদিনই অনেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন,
সোমবার বিকেলে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে এসে মন খারাপ করে ফিরে গেছেন ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে আসা এক দর্শনার্থী। হতাশ হয়ে তিনি জানালেন, জনসাধারণের হয়রানি বন্ধে পার্কটি বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালানো উচিত।
১৯৭৯ সালে শিশুপার্কটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে চালু হয় ১৯৮৩ সালে। মোট রাইডের সংখ্যা ছিল ১২টি। পার্কটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
সোমবার বিকেলে দেখা যায়, পার্কে প্রবেশের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। তবে কিছুক্ষণ পরপরই সেখানে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকেরা আসছেন। পার্ক বন্ধ দেখে অনেকে অবাক হচ্ছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে। কেউ কেউ বন্ধ পার্কের ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে সন্তানদের ছবি তুলছেন। কেউবা পাশের ফুচকা-চটপটির দোকানে যাচ্ছেন। কেউবা সন্তানের মন খারাপ কাটাতে প্লাস্টিকের খেলনা দিচ্ছেন।
শিশুপার্কের নিরাপত্তাকর্মী মো. আজাদ বলেন, প্রতিদিনই দূর–দূরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থী আসেন। বন্ধ দেখে আবার ফিরে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শিশুপার্ক আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে। সেদিন থেকেই শিশুপার্কটি বন্ধ।
দেখা যায়, পার্কের ভেতরে এখন খননযন্ত্র দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। রাইডগুলো এখনো সরিয়ে নেওয়া হয়নি। কোথাও পার্ক বন্ধের নোটিশ চোখে পড়েনি। তবে ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের নকশা দেখা গেছে। সেখানে প্রকল্পের অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক রাইডসহ শিশুপার্কের আধুনিকায়ন করার তথ্য রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০১৯।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘উন্নয়নকাজের জন্য পার্কটি বন্ধ আছে। আপাতত পার্ক বন্ধের নোটিশ নেই। তবে কাগজে টাইপ করে গেটে লাগানো আছে।’ শিগগিরই টেলিভিশন ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পার্ক বন্ধ থাকবে।
পিডিএসও/রিহাব