হাসান ইমন

  ১৬ নভেম্বর, ২০১৮

ব্যানার-পোস্টার সরাতে উদ্যোগ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার সরাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্দেশনা কোনো প্রার্থী মানেননি। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই পাড়া-মহল্লায় দলীয় প্রতীকে এসবের মাধ্যমে ভোট চাইছেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার রাজপথ থেকে শুরু করে অলিগলি পর্যন্ত ছেয়ে গেছে বিভিন্ন আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে। তবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পোস্টার-ব্যানার সরাতে মাঠে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সংস্থা দুটি প্রার্থীদের অধিকাংশ ব্যানার সরাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আর পোস্টার দেয়ালের সঙ্গে সাঁটানোর কারণে উঠাতে বিলম্ব হচ্ছে। আর যেসব প্রার্থী পোস্টার-ব্যানার সরাননি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুই সিটি।

গত ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঢাকাসহ সারা দেশে বইছে নির্বাচনী আমেজ। মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন দলীয় প্রার্থীরা। নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচনী আসনগুলোতে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রচার চালাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তবে এই প্রচারণায় একেবারেই অনুপস্থিত বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো।

সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ দুই সিটিতেই পুরোদমে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। যতদূর চোখ যায় ততদূরই পোস্টার ও ব্যানার দেখা যায়। ছোট, বড় ও মধ্যম সারির নেতা, ওয়ার্ডের নেতা, শ্রমিক নেতাসহ সবাই নেতাদের মন জয় করতে ভোট এবং দোয়া চেয়ে পোস্টার লাগিয়েছেন। ব্যানারে ঝুলিয়েছে নিজের নামসহ সমর্থিত নেতার ছবি। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক ও বর্তমান এমপি এবং সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেক নতুন মুখ। রাজধানীর ফ্লাইওভার, ফুট ওভারব্রিজ, বিদ্যুতের খুঁটি, বাসাবাড়ির দেয়ালসহ কোনো জায়গাই যেন বাদ যায়নি পোস্টার ও ব্যানারে। কোথাও যেন তিল ঠাঁই নাই একটির ওপর আর একটি পোস্টার লাগাচ্ছেন কর্মী ও সমর্থকরা। রোড ডিভাইডারে গাছের সঙ্গে এমনকি গণপরিবহনেও পোস্টার লাগিয়ে চলছে প্রচারণা। পোস্টার সাঁটানোর এই প্রতিযোগিতায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই এগিয়ে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের পোস্টার কিছুটা চোখে পড়লেও বিএনপির নেতাকর্মীদের পোস্টার কিংবা ব্যানার একেবারেই চোখে পড়ছে না। এতে করে খুব সহজেই সৌর্ন্দয হারাচ্ছে মহানগরী। সরকারদলীয় পোস্টার হওয়ায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না সিটি করপোরেশন। অনেকটাই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে দুই সিটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী মাঠে নেমে পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার-ব্যানার সরানো হয়ে গেছে। আর বাকিগুলো অপসারণে মাঠে কাজ চলছে। এই জনপ্রতিনিধি আরো বলেন, মূলত পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন সরানোর কথা প্রার্থীদের। কিন্তু তারা সরাননি। এখন সিটি করপোরেশন এগুলো সরাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বলেন, ইসি নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অধিকাংশ ব্যানার ও ফেস্টুন সরাতে সক্ষম হয়েছি। আর বাকিগুলো অপসারণ করতে প্রার্থীরা এবং সিটি করপোরেশন একযোগে কাজ করছে। আর যারা নিজ উদ্যোগে ব্যানার ও ফেস্টুন সরাননি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে পোস্টারগুলো সরাতে কিছুটা দেরি হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ব্যানার-পোস্টার,নির্বাচন কমিশন,ইসি,সংসদ নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close