আমাকে আর ইনসিস্ট করবেন না : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ইসি মাহবুব তালুকদারের কমিশন সভা বর্জন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না ।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সোমবারের ওই ঘটনা নিয়ে কিছু বলতে চাননি সিইসি। তবে নিজেদের মধ্যে মতানৈক্যের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, এতে নির্বাচন কমিশনের কাজে কোনো প্রভাব পড়বে না, নির্বাচন করাও কঠিন হবে না।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার ‘বক্তব্য রাখতে না দেওয়ার’ প্রতিবাদে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জন করেন মাহবুব তালুকদার। বাক স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
পরে সংবাদ সম্মেলন এসে বলেন, বক্তব্য উপস্থাপন করতে না দেওয়ায় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন বলে সভা বর্জন করেছেন।
মাহবুব তালুকদারের কমিশন সভা বর্জন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মঙ্গলবার সিইসি নূরুল হুদা বলেন, “ওটা গতকালের ঘটনা, এ নিয়ে তো গণমাধ্যমে সব রিপোর্ট হয়েছে। ওটা নিয়ে আমি কথা বলব না। আমাকে আর ইনসিস্ট করবেন না।”
সংসদ নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও তাতে কাজে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি।
একজন নির্বাচন কমিশনারের সভা বর্জন ও মতানৈক্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা বা কাজ করা কঠিন হবে কিনা- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “না, কঠিন হবে না।”
মঙ্গলবার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার ছিলেন।
ইসি কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুপারিশ করায় এ সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব তালুকদারকে বৈঠকে ধন্যবাদ জানান সিইসি।
গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ সদস্যের কমিশন যোগ দেওয়ার পর কয়েক দফা নোট অব ডিসেন্ট ও আনঅফিসিয়াল নোট দিয়ে সভা বর্জন করায় আলোচিত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
সর্বশেষ ৩০ অাগস্ট ও ১৫ অক্টোবর দুই বার কমিশন সভায় অংশ নিয়ে ১০ মিনিটের মাথায় নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জন করেন। এরই মধ্যে সিইসি ও ইসি সচিবের একক কর্তৃত্ব নিয়েও অসন্তোষ জানান মাহবুব তালুকদারসহ অন্যরা।
অবশ্য পরে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, তাদের নিজেদের মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে; তা কোনোভাবেই মতবিরোধ নয়।
পিডিএসও/রিহাব