ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি
ঈদুল আজহার আজ দ্বিতীয় দিন। আজকেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পশু কুরবানি দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মসুলমানরা।
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, ঈদের তিন দিন পর্যন্ত (১০, ১১ ও ১২ জিলহজ) পশু কুরবানি দেয়া যায়। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ প্রথম দিনই কুরবানি দিয়ে থাকেন।
ঈদুল আজহার প্রথম দিন কসাইয়ের চাহিদা থাকে খুব বেশি। মাংস কাটার জন্য শ্রমিকও পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই কুরবানির জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বেছে নেন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার আবদেল মিঞা জানান, ঈদের প্রথম দিনই প্রায় সবাই কুরবানি দেয়। আমি বুধবার কুরবানি দেয়ার মতো কোনও মানুষ পাইনি। তাই আজ কুরবানি দেব।
প্রতিবছরই নিয়ম করে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে কুরবানি দেন বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা রহমত আলী। তার ছেলে সুজন জানান, আত্মীয়-স্বজন সবাই প্রথম দিন কুরবানি দেন। আমরা দেই দ্বিতীয় দিন। কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত লোকজন পাওয়া যায়। ঝামেলা হয় না।’
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, কুরবানি আল্লাহর নামে দেয়া হলেও কুরবানির মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ গরিবদের, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের ও এক ভাগ নিজেদের জন্য রাখতে হয়।
প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) নিজ ছেলে হজরত ইসমাইলকে (আ.) কুরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহপাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কুরবানি করে থাকেন।
পিডিএসও/রিহাব