জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ও তার আশপাশের এলাকায় সমন্বিত ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

শো্ক দিবস পালন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ‘ঢাকা মহানগরকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কমিশনার এ কথা বলেন।

ডিএমপির কমিশনার বলেন, ‘১৫ আগস্টকে ঘিরে আমরা ব্যাপক সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। ডিএমপির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ও তার আশপাশের এলাকায় থাকবে সিসিটিভির পর্যাপ্ত ক্যামেরা। দুইটি কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে থাকবে আর্চওয়ে।

প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে ও নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। পুলিশের ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং ঢাকার বনানীর কবরস্থান সুইপিং করা হবে। আরো থাকবে ফায়ার টেন্ডার, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ট্রলিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, টিফিন ক্যারিয়ার, ফ্লাক্স, ছুরি, চাকু, দাহ্য পদার্থ, গ্যাস লাইট, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসা যাবে না। দ্রুততম সময়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে অন্যকে সুযোগ দিবেন।

সেই সঙ্গে সবার প্রতি জাতীয় শোক দিবসের ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রাখার আহবান জানান ডিএমপি কমিশনার।

পিডিএসও/তাজ