নিজস্ব প্রতিবেদক
হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে বিতর্ক
আট হাজারের বেশি হজযাত্রীর রিপ্লেসমেন্ট না হলে অন্তত ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে দাবি করছে এজেন্সিদের সংগঠন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। সেই সঙ্গে অবিক্রিত থেকে যাবে বিমানের টিকিট। এতে ফ্লাইট বাতিলেরও শঙ্কা থাকছে। হজ অফিস জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া ১৫ শতাংশ যাত্রীর রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব নয়। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে হাবের দাবিতে সমস্যা আছে।
নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী মারা গেলে কিংবা গুরুতর অসুস্থ হলে তার বদলি হিসেবে অন্য কাউকে হজ করার সুযোগ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এবারও ৪ শতাংশ রিপ্লেসমেন্ট রেখেছে মন্ত্রণালয়। কিন্তু হজ এজেন্সিগুলোর দাবি, এই কোটা বাড়ানো না হলে এ বছর ৮ হাজার হজযাত্রী যেতে পারবেন না।
হাব বলছে, এবার হজ পরিচালনাকারী ৫২৮টি এজেন্সির অধিকাংশের ১৫ থেকে ২০ জন করে হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট প্রয়োজন। এরই মধ্যে এসব হজযাত্রীর জন্য সৌদি আরবে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিপ্লেসমেন্ট নিশ্চিত না হলে, ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে পারছেন না তারা। তাই অবিক্রীত রয়েছে বিমানের প্রায় ১০ হাজার টিকিট।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, কিছু এজেন্সি ভুয়া নাম, পাসপোর্ট ব্যবহার করে হজযাত্রী নিবন্ধন করেছে। এখন রিপ্লেসমেন্ট দাবি করে আর্থিক লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে এজেন্সিগুলো। এ দিকে, এখন পর্যন্ত ৮১টি ফ্লাইটে ৩০ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এদের কারোরই বড় কোনো অভিযোগ ছিল না। এ ছাড়া, ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে ভিসা হয়েছে ৬৭ হাজার ৪৫২ জনের। ফ্লাইটের অন্তত দুই দিন আগে ভিসা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি দূতাবাস।
পিডিএসও/তাজ