সুফিয়া কামাল আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে কবি সুফিয়া কামালের ছিল দিপ্ত পদচারণা। তার সৃজনশীলতা অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত করে। সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে এ কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত বেগম সুফিয়া কামালের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার (সুফিয়া কামালের) স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুফিয়া কামাল ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি; অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার দৃপ্ত পদচারণা।
তিনি বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। সুফিয়া কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেল রোকেয়া হল নামরকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করলে তিনি এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেন। তিনি শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলারও প্রতিষ্ঠাতা।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ৭১’র অসহযোগ আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাকে জনগণ জননী সাহসিকা উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫’র ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও সুফিয়া কামালের সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন করে প্রেরণা যুগিয়েছে। সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা বেগম সুফিয়া কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
পিডিএসও/হেলাল