‘কোটা নিয়ে আবারও আন্দোলন, আলটিমেটাম দেয়াটা বাড়াবাড়ি’
কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আবারও আন্দোলন শুরু হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছি, বলেছি আমরা এটা করবো। বাস্তবায়নে সময় তো লাগতে পারে। এরপর আবার আন্দোলন, সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি; এটা তো বাড়াবাড়ি। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে কথা উঠলে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রী গণমধ্যমকে এই তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, বৈঠকে কোটা সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে আলোচনা উঠলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো সিদ্ধান্ত দিয়েই দিয়েছি। আমরা তো বলেছি, আমরা এটা করবো। কিন্তু এখনই এটা করতে হবে, এটা কী? আমি তো বলেছি, কোটা থাকবে না। এরপরও আলটিমেটাম দেওয়া, হুমকি দেওয়া, সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া, এটা কী? এর তো কোনো যুক্তি নেই। আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়েছি। কিন্তু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সময় তো লাগতে পারে। এটা নিয়ে হুমকি দেওয়া, আলটিমেটাম দেওয়া; এটা তো বাড়াবাড়ি।
আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ সিনিয়র কয়েকজন মন্ত্রী অংশ নেন। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, কেউ কেউ এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যেহেতু আপনি এর একটা সমাধানের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটা দ্রুত করা যায় কিনা দেখেন।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার বিষয়টিও উঠে আসে। স্যাটেলাইটের মালিকানা নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে সেটা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সমালোচনা করুক, ভালো না লাগলে যৌক্তিক কোনো সমালোচনা থাকলে করতে পারে কিন্তু বিভ্রান্তি ছাড়ানো হচ্ছে কেন? এ স্যাটেলাইটের মালিকানা সরকার ছাড়া আর কারো হওয়ার সুযোগ নেই। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। বৈঠকে তারা বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সম্প্রচারের জন্য বাইরে টাকা দিতে হতো। এখন সেই টাকা বাইরে দিতে হবে না।পিডিএসও/মুস্তাফিজ