উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনে সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণ
জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের ঘোষণা দেয়ায় আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে আজ জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী সংসদ কার্য প্রণালী বিধির ১৪৭ (১) বিধিতে এ প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক কমিটি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রায় যুক্ত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানানো হউক।’ পরে প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার কিছু ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে বেকার সমস্যা দূরীকরণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। সরকারি দলের সদস্য শেখ ফজলুল হক সেলিম বলেন, বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষুকের জাতি নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে এদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখর আর বাংলাদেশের নেত্রী নন, তিনি এখন বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেত্রী। তিনি এখন বিশ্ব নেত্রী। তিনি এখন সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে মানবতাবাদী নেত্রী হিসেবে পরিচিত।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন স্বাধীনতাবিরোধী থাকতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়েছেন, তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পরিচালনা করেন। শেখ হাসিনার এই যাত্রা এক অভূতপূর্ব যাত্রা, এই যাত্রা সহজ ছিল না। প্রথম দিন থেকেই জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও দেশ বিরোধীরা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছিল। শেখ হাসিনা শক্ত হাতে এই জঙ্গি ও আগুন সন্ত্রাসীদের দমন করেছিলেন। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দমন করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিলেন, যা বিষ্ময়কর উন্নয়নের জন্য কাজে দিয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শক্তভাবে জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন করে গণতন্ত্রের কমতি করেননি বরং তিনি গণতন্ত্রের প্রাপ্তি ঘটিয়েছেন।
সাধারণ আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সরকারি দলের সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক আলী আশরাফ, ডা. দীপু মনি, আব্দুল মতিন খসরু, তাজুল ইসলাম, মৃনাল কান্তি দাস, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুর রহমান, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, এডভোকেট সানজিদা খানম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বজলুল হক হারুন, মনিরুল ইসলাম, সাবিনা আক্তার তুহিন, এডভোকেট নাভানা আক্তার, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, জাসদের সদস্য শিরিন আক্তার, তরিকত ফেডারেশনের সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও বিএনএফ সদস্য এস এম আবুল কালাম আজাদ।পিডিএসও/মুস্তাফিজ